সাদা তুলসী
উদ্ভিদের প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
সাদা তুলসী (বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum basilicum) হলো ল্যামিয়াসিয়াই (পুদিনা) গোত্রের একটি উদ্ভিদ। এই প্রজাতি বাবুই তুলসী, দুলাল তুলসী, গুলাল ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[1] ইংরেজি ভাষায় একে “কমন বাসিল” বা “গ্রেট বাসিল” নামে অভিহিত হয়।
সাদা তুলসী | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
মহাজগত: | সংবাহী উদ্ভিদ (ট্র্যাকিওফাইট) |
জগৎ/রাজ্য: | উদ্ভিদ (প্লান্টি) |
গোষ্ঠী: | সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Lamiaceae |
গণ: | Ocimum লিনিয়াস |
প্রজাতি: | O. basilicum |
দ্বিপদী নাম | |
Ocimum basilicum লিনিয়াস | |
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ৯৪ কিজু (২২ kcal) |
২.৬৫ গ্রাম | |
খাদ্য আঁশ | ১.৬ গ্রাম |
০.৬৪ গ্রাম | |
৩.১৫ গ্রাম | |
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
ভিটামিন এ সমতুল্য | ৩৩% ২৬৪ μg২৯% ৩১৪২ μg |
থায়ামিন (বি১) | ৩% ০.০৩৪ মিগ্রা |
রিবোফ্লাভিন (বি২) | ৬% ০.০৭৬ মিগ্রা |
নায়াসিন (বি৩) | ৬% ০.৯০২ মিগ্রা |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) | ৪% ০.২০৯ মিগ্রা |
ভিটামিন বি৬ | ১২% ০.১৫৫ মিগ্রা |
ফোলেট (বি৯) | ১৭% ৬৮ μg |
কোলিন | ২% ১১.৪ মিগ্রা |
ভিটামিন সি | ২২% ১৮.০ মিগ্রা |
ভিটামিন ই | ৫% ০.৮০ মিগ্রা |
ভিটামিন কে | ৩৯৫% ৪১৪.৮ μg |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ক্যালসিয়াম | ১৮% ১৭৭ মিগ্রা |
কপার | ১৯% ০.৩৮৫ মিগ্রা |
লৌহ | ২৪% ৩.১৭ মিগ্রা |
ম্যাগনেসিয়াম | ১৮% ৬৪ মিগ্রা |
ম্যাঙ্গানিজ | ৫৫% ১.১৪৮ মিগ্রা |
ফসফরাস | ৮% ৫৬ মিগ্রা |
পটাশিয়াম | ৬% ২৯৫ মিগ্রা |
সেলেনিয়াম | ০% ০.৩ μg |
সোডিয়াম | ০% ৪ মিগ্রা |
জিংক | ৯% ০.৮১ মিগ্রা |
অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ |
পানি | ৯২.০৬ গ্রাম |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল |
সাদা তুলসী মধ্য আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ক্রান্তীয় অঞ্চলের স্থানীয় উদ্ভিদ।[2] এটি একটি নরম উদ্ভিদ। এটি বিশ্বব্যাপী রান্নায় ব্যবহৃত হয়।
এ ধরনের তুলসীর বিভিন্ন প্রকরণ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতি ও হাইব্রিডকেও “বাসিল” বলা হয়। সুগন্ধীর জন্য ব্যবহৃত তুলসীগুলোকে মিষ্টি তুলসী (বা গিনোভিজ তুলসী) বলা হয়। এটি থাই তুলসী (O. basilicum var. thyrsiflora), লেবু তুলসী (O. × citriodorum) ও সাধারণ তুলসীর (Ocimum tenuiflorum) থেকে পৃথক। তুলসীর অধিকাংশ জাত একবর্ষজীবী হলেও উষ্ম, ক্রান্তীয় অঞ্চলের কিছু জাত বহুবর্ষজীবী হয়ে থাকে; যেমন: সাধারণ তুলসীর খুব নিকট সম্পর্কযুক্ত আফ্রিকান নীল তুলসীর নাম উল্লেখ করা যায়।