হাবিবউল্লাহ খান
আফগানিস্তানের আমির / From Wikipedia, the free encyclopedia
হাবিবউল্লাহ খান (৩ জুন ১৮৭২ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯) ছিলেন আফগানিস্তানের আমির। ১৯০১ থেকে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি আমির ছিলেন। তিনি উজবেকিস্তানের সমরকন্দে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ছিলেন তার পিতা আমির আমির আবদুর রহমান খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
হাবিবউল্লাহ খান | |
---|---|
আফগানিস্তান আমির | |
আফগানিস্তানের আমির | |
রাজত্ব | ১ অক্টোবর ১৯০১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ |
পূর্বসূরি | আবদুর রহমান খান |
উত্তরসূরি | নাসরুল্লাহ খান |
জন্ম | ৩ জুন ১৮৭২ সমরকন্দ, উজবেকিস্তান[1][2] |
মৃত্যু | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯(1919-02-20) (বয়স ৪৬) কালাগুশ, আফগানিস্তান |
পিতা | আবদুর রহমান খান |
মাতা | আসাল বেগম |
হাবিবউল্লাহ খান আফগানিস্তানকে আধুনিক করতে চেয়েছিলেন। তিনি আফগানিস্তানে আধুনিক চিকিৎসা ও প্রযুক্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা চালান। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে হাবিবউল্লাহ খান হাবিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি সামরিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশে তিনি সংস্কার কার্যক্রম চালান। তিনি আইন ব্যবস্থার সংস্কার করেন এবং অনেক কঠোর শাস্তির প্রথা বন্ধ করেন। তবে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা আবদুল লতিফকে ধর্মত্যাগের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তাকে কাবুলে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। অন্যান্য সংস্কারের মধ্যে ছিল দমনমূলক অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ব্যবস্থা ভেঙে দেয়া।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় ও জার্মান পক্ষ আফগানিস্তানকে নিজেদের দলে আনার প্রচেষ্টা চালালেও তিনি আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থায় রাখতে সক্ষম হন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের সাথে উত্তেজনা কমিয়ে আনেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এ জন্য মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি সফরে যান।
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি লাগমান প্রদেশে শিকারের সময় হাবিবউল্লাহ খান নিহত হন।[3] তার ভাই নাসরুল্লাহ খান এরপর তার উত্তরসুরি হন। তিনি মাত্র একসপ্তাহ ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তিনি হাবিবউল্লাহ খানের তৃতীয় সন্তান আমানউল্লাহ খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী হন।[4]