হিজাবের প্রকারভেদ
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
হিজাবের প্রকারভেদ-এর এই ছকটি সাধারণত হিজাব শব্দের সাথে সম্পর্কিত ইসলামি পোশাকগুলির পরিভাষাগতভাবে পৃথক শৈলীর বর্ণনা দেয়।
আরবি শব্দ হিজাবকে অন্য অর্থের মধ্যে "আবরক, ওড়না, পর্দা, বিভাজক" ইত্যাদি হিসাবে অনুবাদ করা যেতে পারে।[1] কুরআনে এটি আক্ষরিক এবং রূপক উভয় অর্থে পৃথকীকরণ, সুরক্ষা এবং আচ্ছাদন সম্পর্কিত ধারণাকে বোঝায়।[2] পরবর্তীকালে, শব্দটির অর্থ বিকশিত হয় এবং বর্তমানে এটি সাধারণত মুসলিম নারীদের পর্দা বা নারী-পুরুষের মধ্যে পৃথকীকরণের ধারণাকে বোঝায়। ইংরেজিতে এই শব্দটি মূলত মুসলিম নারীদের মাথা ঢেকে রাখা এবং ইসলাম ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাকে বোঝায়।[3][4]
আরও তথ্য নাম, চিত্র ...
নাম | চিত্র | বিবরণ |
---|---|---|
আবায়া (আরবি: عباية) |
গাউন সদৃশ বাইরের পোশাক, যা পূর্ণপ্রসারিত দেহে মাথা, পা এবং হাত ব্যতীত পুরো শরীরকে ঢেকে রাখে। এটির সাথে সাধারণত হিজাব বা (বিশেষত সৌদি আরব) মোজা এবং নিকাব পরা হয়ে থাকে। | |
আল-আমিরা | একটি দ্বি-অংশবিশিষ্ট ঘোমটা। এটিতে একটি আঁটসাঁট টুপি থাকে, যা সাধারণত তুলা বা পলিয়েস্টার থেকে তৈরি করা হয় এবং তার সাথে নলের মতো ওড়না থাকে। | |
বুশিয়্যা | এক প্রকার ঘোমটা, যা কপালে বাঁধা হয় এবং পুরো মুখটি ঢাকা থাকে কিন্তু চোখের জন্য আলাদা জায়গা নেই; তবে এর মাধ্যমে যথেষ্ট স্পষ্টভাবে সবকিছু দেখা যায় (মধ্য প্রাচ্য, বিশেষত পারস্য উপসাগর)। | |
বুখনুক | এটি খিমার ২ এর সদৃশ (নীচে দেখুন) তবে এটি কেবল বক্ষের নিচে পর্যন্ত নামে। কখনও কখনও এটিকে "আমিরা হিজাব" বলা হয়, যদি এটির প্রান্তে কারচুপির কাজ থাকে। | |
পূর্ব আরব বাতুলা (আরবি: برقع شرق الجزيرة العربية) |
নারীরা এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার এবং দক্ষিণ ইরানের আরবে পরেন। এই প্রথাটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে মৃতপ্রায়। ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক মহিলারা এবং গ্রামাঞ্চলে যারা থাকেন তাদের এখনও এটি পরে থাকতে দেখা যায়। | |
বোরকা (আরবি: برقع، چادری) |
ঐতিহ্যবাহী মধ্য এশীয়[5] শৈলীর বাইরের পোশাক যা নারীদের পুরো শরীরকে ঢেকে রাখে এবং তাকানোর সুবিধার্থে মুখের উপরে একটি ঝাঁঝরি থাকে। পারাঞ্জার মতো অন্যান্য মধ্য এশীয় পোশাকের সাথে শৈলী এবং বৈশিষ্ট্যে খুব মিল রয়েছে। | |
চাদর | একটি ইরানীয় ঐতিহ্যবাহী বাইরের পোশাক (অন্যান্য দেশেও এটি প্রচলিত), যা মাথা এবং দেহকে সুরক্ষা দেয় এবং পূর্ণপ্রসারিত দেহে অর্ধবৃত্ত অবস্থায় থাকে, তবে নিচ দিকে নেমে আসে। হাতের জন্য চাদরে কোনো চেরা নেই এবং এটি হাত দিয়ে গায়ে আটকে রাখা হয় বা কেবল বাহুতে জড়িয়ে রাখা হয়। | |
দোপাট্টা বা ওড়না | সাধারণ পাকিস্তানি, পাঞ্জাবি, ভারতীয় এবংং বাংলাদেশি পোশাক; গড়পড়তা ওজনের সুতার বুননে তৈরি একটি বড় রঙিন কাপড় যা মাথা এবং কাঁধগুলিকে ঢেকে রাখে। সাধারণত সালওয়ার-কামিজের পায়জামা এবং কুর্তির সাথে রঙ বা নকশা মিলিয়ে একটি থ্রি-পিস সেটে বিক্রি হয়। হিন্দু নারীদের দ্বারাও এটি পরিহিত হয়। | |
ইলেকেক | কিরগিজ মহিলাদের দ্বারা পরিহিত ঐতিহ্যবাহী সাদা পাগড়ী, যা বর্তমানে বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত।[6][7] | |
হিজাব (আরবি: حجاب) |
মাথার যে কোনও আবরক বস্ত্র বুঝাতে পারে; দেখুন হিজাব | |
জিলবাব (১) (আরবি: جلباب) |
জাতিভিত্তিক | বাইরের পোশাক বোঝাতে কুরআনে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে (সূরা আল-আহযাব, আয়াত ৫৯)। ইন্দোনেশিয়ায় জিলবাব শব্দটি কেবলমাত্র মাথার পর্দাকে বোঝায়। |
জিলবাব (২) | এক ধরনের বাইরের পোশাক যা দেখতে দীর্ঘ রেইনকোট বা ট্রেঞ্চকোটের মতো লাগে। | |
কালপাক | কাজাখস্তান, কারাকালপাকতান এবং কিরগিজস্তানের বিবাহিত নারীদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ী। | |
কেরুডাং | যদিও মালয়েশিয়ার টুডাংয়ের সাথে মিল রয়েছে (নীচে), আধুনিক ইন্দোনেশিয়ান কেরুডাং-এ সাধারণত চোখের উপরে একটি শক্ত আবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে। | |
খিমার (১) (আরবি: خمار) |
জাতিভিত্তিক | কুরআনে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১) মাথার কাপড় বোঝাতে; "হিজাব" শব্দটি এই অর্থের সাথে বেশি ব্যবহৃত হয়। |
খিমার (২) | বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মুখের জন্য ছিদ্রযুক্ত একটি বৃত্তাকার মাথার কাপড়কে বুঝোনো হয়, যা সাধারণত কোমর অবধি নেমে আসে। উপরে বুখনাক এবং চাদরের বিভিন্নতা লক্ষ্য করুন, যা একই শৈলীর তবে ভিন্ন দৈর্ঘ্যের। | |
কিমেশেক (কাজাখ: Кимешек) |
কাজাখস্তান, কারাকালপাকতান এবং কিরগিজস্তানের বিবাহিত নারীদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ী। | |
কুড়ার্স (কাজাখ: Курхарс) |
ইঙ্গুশেতিয়ার অবিবাহিত নারীদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ী। | |
মুকেনা | প্রার্থনার জন্য প্রায় একচেটিয়াভাবে পরিহিত একটি ইন্দোনেশিয়ান হিজাব। এটি দুটি ফিতা দিয়ে মাথার চারপাশে বেঁধে দেওয়া হয়। রঙগুলি সাধারণত সাদা বা পেস্টেল হয়ে থাকে। | |
নিকাব نقاب | এক প্রকার ঘোমটা যা মুখ এবং পুরো মাথা ঢেকে দেয়, তবে চোখের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে (চিত্র: ইয়েমেনে ধৃত শৈলী) | |
নিকাব (২) | এক প্রকার ঘোমটা যা নাকের হাড়ের উপর আবদ্ধ থাকে এবং নিচে মুখটিকে ঢেকে রাখে। একে "অর্ধ নিকাব"-ও বলা হয়। | |
ওরামাল (কাজাখ: Орамал) |
মধ্য এশিয়া এবং ককেশাসে ব্যবহৃত একটি ঐতিহ্যবাহী রুমাল (এটি কীভাবে বাঁধা হয়েছে তা লক্ষ্য করুন, ঘাড়টি সাধারণত এটি দ্বারা আবৃত হয় না)। উজবেকিস্তানের মতো কয়েকটি দেশে ঐতিহ্যগতভাবে এটি কেবল ঘরে ব্যবহৃত হত, যখন জনসাধারণের মধ্যে পারাঞ্জা বেশি জনপ্রিয় ছিল। কাজাখস্তানের মতো অন্যান্য দেশে এটি সাধারণত জনসম্মুখে ব্যবহৃত হত। কিরগিজস্তানে সাদা রঙটি বিবাহিতা নারীদের ইঙ্গিত দেয়। | |
পারাঞ্জা | একটি মধ্য এশীয় ঐতিহ্যবাহী বাইরের পোশাক, যা মাথা এবং দেহকে সুরক্ষা দেয়, এটি ওজনে ভারী এবং অশ্বকেশর থেকে তৈরি। একসময় উজবেক এবং তাজিক সমাজে এটি প্রচলিত ছিল। | |
সেলেনডাং | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাঁধের চারপাশে বেঁধে রাখা যায় এমন একটি বহুমুখী পাগড়ীর কাপড়, যা শিশু এবং মুদিদ্রব্য বহন করতে অথবা মাথাকে সুসজ্জিত করতে ব্যবহৃত হয়। | |
শায়লা | দীর্ঘ, আয়তক্ষেত্রাকার ওড়না, মাথার চারপাশে আবৃত থাকে এবং কাঁধে গুঁজে রাখা হয় বা পিন দিয়া আটকানো হয়। এটি পারস্য উপসাগরীয় আরব রাজ্যে জনপ্রিয়। | |
তাকিয়াহ (টুপি) |
| |
টুডাং বা কেরুডাং | মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় পরিহিত এক প্রকার ওড়না। ইন্দোনেশিয়ায় কেরুডাং শব্দটি ব্যপক প্রচলিত। | |
টারবান | মাথায় গুছালোভাবে হিজাব বাঁধার একটি তুর্কি পদ্ধতি।[8] |
বন্ধ