হোজে রামোস হোর্তা
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
হোজে ম্যানুয়েল রামোস হোর্তা জিকলএইচ জিসিএল (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [ʒuˈzɛ ˈʁɐ̃muz ˈɔɾtɐ]; জন্ম ২৬ ডিসেম্বর ১৯৪৯) হলেন একজন পূর্ব তিমুরীয় রাজনীতিবিদ, যিনি ২০ মে ২০০৭ থেকে ২০ মে ২০১২ পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। "যথাযথভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পূর্ব তিমুর সংঘাতের সমাধান" নিয়ে কাজ করার জন্য কার্লোস ফিলিপে জিমেনেস বেলোর সাথে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
হোজে রামোস হোর্তা জিকলএইচ জিসিএল | |
---|---|
পূর্ব তিমুরের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৭ এপ্রিল ২০০৮ – ২০ মে ২০১২ | |
প্রধানমন্ত্রী | জানানা গুসামাও |
পূর্বসূরী | ফার্নান্দো ডি আরাউজো (ভারপ্রাপ্ত) |
উত্তরসূরী | তাউর মাতান রুয়াক |
কাজের মেয়াদ ২০ মে ২০০৭ – ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | |
প্রধানমন্ত্রী | এস্তানিস্লাউ দা সিলভা জানানা গুসামাও |
পূর্বসূরী | জানানা গুসামাও |
উত্তরসূরী | ভিসেন্তে গুতেরেস (ভারপ্রাপ্ত) |
পূর্ব তিমুরের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৬ জুন ২০০৬ – ১৯ মে ২০০৭ | |
রাষ্ট্রপতি | জানানা গুসামাও |
পূর্বসূরী | মারি আলকাতিরি |
উত্তরসূরী | এস্তানিস্লাউ দা সিলভা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | হোসে ম্যানুয়েল রামোস হোর্তা (1949-12-26) ২৬ ডিসেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৪) দিলি, পর্তুগিজ তিমুর (বর্তমান পূর্ব তিমুর) |
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
দাম্পত্য সঙ্গী | আনা পেসোয়া (বিবাহ বিচ্ছেদ) |
সন্তান | ১ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অ্যান্টিওচ মহাবিদ্যালয় বুসান পররাষ্ট্রবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাক্ষর |
ফ্রেতিলিনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সদস্য হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশীয় আগ্রাসনের সময়ে নির্বাসিত পূর্ব তিমুরীয় মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি ফ্রেতিলিন থেকে পদত্যাগ করেন এবং স্বতন্ত্র রাজনীতিবিদে পরিণত হন।[1]
২০১২ সালে পূর্ব তিমুর স্বাধীন হলে তিনি সেদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের দরুন ২০০৬ সালের ২৫ জুন পদত্যাগ করেন। মারি আলকাতিরিরির পদত্যাগের পর ২৬ জুন তিনি পূর্ব তিমুরীয় রাষ্ট্রপতি জানানা গুসামাও কর্তৃক সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২ সপ্তাহ পর, ২০০৬ সালের ১০ জুলাই তিনি পূর্ব তিমুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এক হত্যাপ্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদকাল শেষ হবার পর তিনি ২০১২ সালে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি এবং ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারিতে গিনিবিসাউয়ে জাতিসংঘ সমন্বিত শান্তিপ্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।