ব্যষ্টিক অর্থনীতি
অর্থনীতির একটি শাখা যাতে ব্যক্তি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভোগ ও উপযোগ, উৎপাদন, মূল্য, মুনাফা ইত্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্যষ্টিক অর্থনীতি (বা ক্ষুদ্র অর্থনীতি) অর্থনীতির একটি মৌল শাখা যাতে ব্যক্তি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভোগ ও উপযোগ, উৎপাদন, মূল্য, মুনাফা ইত্যাদির নিয়ামক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাজার অর্থনীতিতে বাজারে পণ্যের ও সেবার বিনিময় ঘটে। পণ্যের ও সেবা থেকে ব্যক্তি বা ভোক্তা উপযোগ লাভ করে। বাজরে পণ্য ও সেবা বিনিময়ের প্রধান দুটি নিয়ামক হলো ব্যক্তির (বা পরিবারের) পণ্য বা সেবার চাহিদা ও উৎপাদক কর্তৃক সেসবের যোগান। কোন্ নিয়ামক (মূল্য বা আয় ইত্যাদি) কী ভাবে ভোগ তথা চাহিদার পরিমাণ নিরূপণ করে এবং উৎপাদকের ক্ষেত্রে কোন্ কোন্ নিয়ামক (উৎপাদন ব্যয়, সরকারি কর, বাজারের শ্রেণী বা প্রকৃতি) কী ভাবে পণ্য বা সেবার উৎপাদন, মূল্য, বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ নিরূপণ করে এ সবই ব্যষ্টিক অর্থনীতি বা ব্যষ্টিক অর্থশাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়।[1]
অন্য দিকে, সামষ্টিক অর্থনীতি অন্তর্ভুক্ত করে “ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সবগুলোর যোগফলকে, প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি ও বেকার সমস্যা বিষয়ক তত্বাবধান এবং এইসব বিষয়ে সম্পর্কযুক্ত জাতীয় অর্থনৈতিক নীতিসমুহ” এবং ইহা সরকারি কার্যক্রম (যেমন, কর স্তর পরিবর্তন) কে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে লুকাস সমালোচনায় বলা হয় যে, বেশির ভাগ আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতি তত্ত্বসমুহ ব্যষ্টিক অবকাঠামোর উপর প্রতিষ্ঠিত - ইহা ব্যষ্টিক-স্তর আচরনের অনুমিত শর্তসমুহের ভিত্তি।
ব্যষ্টিক অর্থনীতির একটি লক্ষ হচ্ছে যে, বাজার প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা যা পণ্য ও সেবার সম্পর্কযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে এবং সীমিত সম্পদের বিকল্প ব্যবহারের জন্য বণ্টন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে।[2] ব্যষ্টিক অর্থনীতি বাজার ব্যর্থতাকে বিশ্লেষন করে, যেখানে বাজার দক্ষ ফলাফল তৈরীতে ব্যর্থ হয়, যেমন পূর্ণ প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক শর্ত বর্ণনা। ব্যষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমুহ হচ্ছে সাধারণ ভারসাম্য, বিচ্ছিন্ন তথ্যের বাজার, অনিশ্চয়তায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্রীড়াতত্ত্বের অর্থনৈতিক ব্যবহার। ইহা ছাড়াও ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে বাজার প্রক্রিয়ার সাথে পণ্যের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।