থেরবাদ
বৌদ্ধধর্মের শাখা, প্রাচীনতম বিদ্যমান সম্প্রদায় / From Wikipedia, the free encyclopedia
থেরবাদ (/ˌtɛrəˈvɑːdə/; পালি শব্দ; আক্ষরিক অর্থ: "স্থবিরদের (প্রাচীনপন্থী) সম্প্রদায়")[1][2] হল বৌদ্ধধর্মের এখনও বিদ্যমান সম্প্রদায়গুলির মধ্যে প্রাচীনতম।[1][2] গৌতম বুদ্ধের শিক্ষার একটি নিজস্ব সংস্করণ তাঁরা পালি ভাষায় রচিত তিপিটক গ্রন্থে সংরক্ষণ করেন।[1][2] পালি তিপিটক গ্রন্থটিই কোনও ধ্রুপদি ভারতীয় ভাষায় অদ্যাবধি সংরক্ষিত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ প্রামাণ্য বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ। এই ভাষাটিই থেরবাদ সম্প্রদায়ের পবিত্র ভাষা[2] ও লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা.[3] তমরাশতীয় সম্প্রদায়ের একটি পাঠও এই গ্রন্থের অন্তর্গত।[4]
এক সহস্রাব্দেরও বেশি সময় ধরে থেরবাদীরা তাঁদের সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থে লিপিবদ্ধ ধম্ম সংরক্ষণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।[web 1] থেরবাদ সম্প্রদায় মতবাদ ও সন্ন্যাস প্রথার নিয়মানুবর্তিতার ব্যাপারে রক্ষণশীল। এখানেই মহাযান ও বজ্রযান সম্প্রদায়ের তাঁদের প্রধান পার্থক্য।[5] ১৯শ শতাব্দীতে ধ্যান অনুশীলন পুনঃপ্রবর্তিত হয় এবং সেই সময় থেকে প্রথাগত থেরবাদী দেশগুলিতে এবং পাশ্চাত্যে জনসাধারণের মধ্যে তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে।[web 1]
শ্রীলঙ্কায় থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম একটি স্বতন্ত্র আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায় হিসাবে পূর্ণতা অর্জন করে এবং তারপরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।[6] এই সম্প্রদায় কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়। ভারত, বাংলাদেশ, চীন, নেপাল ও ভিয়েতনামের একটি সংখ্যালঘু অংশও এই মতবাদে অনুসারী। এছাড়া সারা বিশ্বে এই সকল গোষ্ঠীর অভিবাসীরা এবং ধর্মান্তরিতরাও থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম অনুশীলন করেন। বৌদ্ধ আধুনিকতাবাদ, বিপশ্যনা আন্দোলন ও থাই অরণ্য প্রথা এই মতবাদেরই সমসাময়িক প্রকাশ।