জর্জিয়া
পূর্ব ইউরোপীয় দেশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
জর্জিয়া (জর্জীয়: საქართველო, আইপিএ: [sakʰartʰʷelo] (শুনুনⓘ)) পূর্ব ইউরোপের সংযোগস্থলের একটি আন্তঃমহাদেশীয় দেশ।এটি ককেশাস অঞ্চলের অংশ এবং এর পশ্চিমে কৃষ্ণসাগর, উত্তর ও উত্তরপূর্বাংশে রাশিয়া,দক্ষিণ পশ্চিমাংশে তুরস্ক,দক্ষিণে আর্মেনিয়া,আর দক্ষিণপূর্বাংশ আজারবাইজান দ্বারা ঘেরা।দেশটির আয়তন ৬৯,৭০০ বর্গ কিলোমিটার(২৬,৯০০ বর্গমাইল) আর জনসংখ্যা প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন।[9]তিবিলিসি একই সাথে দেশটির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর, এক-তৃতীয়াংশ জর্জিয়ান জনগোষ্ঠীর বাস এই শহরটিতেই।
জর্জিয়া საქართველო Sakartvelo | |
---|---|
নীতিবাক্য: ძალა ერთობაშია Dzala Ertobashia একতাই বল | |
গাঢ় সবুজ চিহ্নি অংশটি জর্জীয় সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ;আর হালকা সবুজ অংশটি বর্তমানে জর্জিয়ার নিয়ন্ত্রাধীন নয় কিন্তু জর্জিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | তিবিলিসি[a] |
সরকারি ভাষা | জর্জীয়[1] |
প্রচলিত ভাষা সমূহ [2] |
|
নৃগোষ্ঠী (২০০২) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | জর্জীয়ান |
সরকার | Unitary semi-presidential republic[3] |
Giorgi Margvelashvili | |
Giorgi Kvirikashvili | |
• স্পিকার | David Usupashvili |
আইন-সভা | পার্লামেন্ট |
স্বাধীনতা | |
• কোলচি সাম্রাজ্য | খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ অব্দ থেকে-১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
• দিয়াখি সাম্রাজ্য | ১২শ থেকে ৮ম শতাব্দী খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
• ইবেরিয়া সাম্রাজ্য | ৩০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ–৫৮০ খ্রিস্টাব্দ |
• লাজাইকা সাম্রাজ্য | ১৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ–৬৯৭ খ্রিস্টাব্দ |
• আবখাজিয়া সাম্রাজ্য | ৭৬৭-১০১৪ খ্রিস্টাব্দ |
• জর্জিয়া সাম্রাজ্য | ১০০৮ |
১২ সেপ্টেম্বর ১৮০১ | |
• গণপ্রজাতন্ত্রী জর্জিয়া | ২৬ মে ১৯১৮ |
• সোভিয়েত অধিভুক্তকরণ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ |
৯ এপ্রিল ১৯৯১ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১ | |
আয়তন | |
• মোট | ৬৯,৪২০ কিমি২ (২৬,৮০০ মা২) (১২০ তম) |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৫ আনুমানিক | ৩,৭২৯,৫০০[4] (১৩১ তম) |
• ২০১৪ আদমশুমারি | ৩,৭২৯,৬৩৫[5] |
• ঘনত্ব | ৫৩.৫/কিমি২ (১৩৮.৬/বর্গমাইল) (১৩৭ তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৫ আনুমানিক |
• মোট | $৩৭.২৭ বিলিয়ন[2] (১১৭ তম) |
• মাথাপিছু | $৮,২২৩ |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৫ আনুমানিক |
• মোট | $১৬.৫৩৫ বিলিয়ন [6] |
• মাথাপিছু | $৪,৭৩৯[6] |
জিনি (২০১৩) | ৪০.০[7] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪) | ০.৭৫৪[8] উচ্চ · ৭৬ তম |
মুদ্রা | ল্যারি () (GEL) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+৪ (GET) |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
কলিং কোড | +৯৯৫ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | GE |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ge .გე |
|
প্রাচীন যুগে কোলচি,ইবেরিয়ার মতো বিভিন্ন স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো জর্জিয়ায়।চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকেই জর্জীয় উপজাতিরা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয়।যা প্রাথমিক জর্জীয় রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের জন্য তাদের আত্মিক ও রাজনৈতিক একতাবদ্ধ করণে ভূমিকা রাখে।মধ্যযুগে ঐক্যবদ্ধ জর্জীয় রাজ্য প্রসারিত হওয়া শুরু হয় এবং দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতকে রাজা চতুর্থ ডেভিড বা David IV এবং রানী তামার বা Tamar এর শাসন আমলকে তাদের স্বর্ণযুগ বলা হয়।অত:পর রাজ্যটির পতন হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির দ্বারা শাসিত ও উপনিবেশিত হয়।রাজ্যটি বিভিন্ন সময় মঙ্গল,তুর্কি ও পারস্যের বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো।১৭৮৩ সালে একটি জর্জীয় রাজ্য রাশিয়ান সাম্রাজ্যের সাথে মৈত্রী স্থাপন করে।আর এটিই উনবিংশ শতাব্দীতে শান্তিপূর্ণ ভাবে অধুনিক জর্জিয়ার রাজ্য সমূকে এক করতে ভূমিকা পালন করে। ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পর জর্জিয়া জার্মানির নিরাপত্তায় একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র গঠন করে।[10]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ হওয়ার পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯২২ সালে জর্জিয়ায় আক্রমণ করে এবং জর্জিয়াকে নিজের সাথে যুক্ত করে।জর্জিয়া হয়ে উঠে সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।১৯৮০ এর দশক জুড়ে জর্জিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয় ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।যা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে জর্জিয়াকে১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে বিভাজিত করে আর গঠিত হয় স্বাধীন জর্জিয়া।পরবর্তী দশক গুলতো সোভিয়েত পরবর্তী জর্জিয়া অর্থনৈতিক সমস্যা,রাজনৈতিক অস্থিরতা,জাতিগত দ্বন্দ,আবখাজিয়া আর দক্ষিণ ওশেটিয়ার বিভোজিত হওয়ার লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যায়। ২০০৩ সালের রক্তহীন গোলাপ বিপ্লবের পর জর্জিয়া দৃঢ় ভাবে পশ্চিমা বৈদেশিক নীতি অনুসরণ শুরু করে।যা জর্জিয়ার কাছে উন্মুক্ত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর বিভিন্ন গনতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য সমূহকে।দেশটিকে পশ্চিমা ঢঙে সাজানো নিয়ে দ্রুতই রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।ফলে ২০০৮ সালে শুরু হয় রুশ-জর্জীয় যুদ্ধের। সেসময়ে জর্জিয়ার একাংশকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় রাশিয়া।
জর্জিয়া একটা প্রতিনিধিত্বমূলক গনতন্ত্রীয় দেশ,যেটি এককেন্দ্রিক সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হিসেবে শাসিত হয়।[11][12]এটি উচ্চ মানব উন্নয়ন সূচক সম্বলিত উন্নয়নশীল একটি দেশ।স্বাধীনতার পর দেশটিতে অর্থনৈতিক সংস্কার সাধিত হয়েছে,যা একদিকে মুক্ত অর্থনীতির দুয়ার উন্মুক্ত করেছে অপরদিকে দূর্নীতি,দারিদ্রতা আর বেকারত্বের হার কে হ্রাস করতে ভূমিকা রাখছে।গাঁজাকে বৈধতা দানকারী প্রথম সারির দেশ এবিং একমাত্র সাবেক সমাজতান্ত্রিক রাজ্য। দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য যেমনঃ কাউন্সিল অফ ইউরোপ,ওএসসিই,ইউরোকন্ট্রোল, ইবিআরডি, দ্যা বিএসইসি,দ্যা জিইউএএম,দ্যা এডিবি,দ্যা ডাব্লিউটিও এবং দ্যা এনার্জি কমিউনিটি।