নূর মুহাম্মদ তারাকি
From Wikipedia, the free encyclopedia
নূর মুহাম্মদ তারাকি (১৫ জুলাই ১৯১৭ – ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) ছিলেন একজন আফগান রাজনীতিবিদ। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তান (পিডিপিএ) গঠনের সময় তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। দলের প্রথম কংগ্রেসে তিনি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালের আফগান সংসদীয় নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলেও জয়ী হতে পারেননি। ১৯৬৬ সালে তিনি দলের খবরের কাগজ খালকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করেন। এর অল্পকাল পরে আফগান সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়। মীর আকবর খাইবারের হত্যাকান্ডের পর তারাকি, হাফিজউল্লাহ আমিন ও বাবরাক কারমাল সাওর বিপ্লবের সূত্রপাত করে আফগানিস্তানে কমিউনিস্ট শাসনের সূচনা করেন।
নূর মুহাম্মদ তারাকি نور محمد ترکۍ | |
---|---|
বিপ্লবী কাউন্সিলের প্রেসিডিয়ামের চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল ১৯৭৮ – ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | আবদুল কাদির |
উত্তরসূরী | হাফিজউল্লাহ আমিন |
মন্ত্রিসভার চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ১ মে ১৯৭৮ – ২৭ মার্চ ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ মূসা শফিক |
উত্তরসূরী | হাফিজউল্লাহ আমিন |
পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ১ জানুয়ারি ১৯৬৫ – ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | দপ্তর স্থাপিত |
উত্তরসূরী | হাফিজউল্লাহ আমিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯১৭-০৭-১৫)১৫ জুলাই ১৯১৭ নাওয়া, গজনি প্রদেশ, আফগানিস্তান |
মৃত্যু | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯(1979-09-14) (বয়স ৬২) কাবুল, আফগানিস্তান |
রাজনৈতিক দল | পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তান (খালক গ্রুপ) |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক |
তারাকির রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি চালু করা ভূমি সংস্কার কার্যক্রমসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় হয়। জনঅসন্তুষ্টির ফলে এক পর্যায়ে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নকে হস্তক্ষেপ করতে রাজি করাতে পারেননি।
তার শাসনের শুরুর দিকে সরকার দলের খালকপন্থি ও পারচামপন্থিদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তারাকি ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ খালকপন্থিদের নেতা। ১৯৭৮ সালে তিনি সরকার ও দলে নির্মূল কার্যক্রম শুরু করেন যার ফলে অনেক উচ্চপদস্থ পারচামপন্থিকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শাসনকালে তার সাথে আমিনের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল। ১৯৭৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আমিনের নির্দেশে তারাকি নিহত হন।