পাকিস্তান সেনাবাহিনী
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী / From Wikipedia, the free encyclopedia
পাকিস্তান সেনাবাহিনী (উর্দু: پاک فوج পাক ফৌজ) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অংশ। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময়ে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাংশ হতে এই বাহিনী গঠিত হয়। ইন্টান্যাশনাল ইন্সটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (IISS) এর মতে ২০১০ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কার্যকর সেনা সংখ্যা ৫৫০,০০০ জন এবং সংরক্ষিত ট্রুপসের সংখ্যা প্রায় ৫০০,০০০ জন।[1] পাকিস্তানের সংবিধানে সামরিক পরিকল্পনার একটি বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও তা কখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী | |
---|---|
পাকিস্তান সেনা বাহিনীর পতাকা | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৪ আগস্ট ১৯৪৭; ৭৬ বছর আগে (1947-08-14) |
প্রধান কার্যালয় | রাওয়ালপিন্ডি সেনানিবাস |
নেতৃত্ব | |
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি | আসিফ আলি জারদারি |
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী | শেহবাজ শরীফ |
সেনাবাহিনী প্রধান (পাকিস্তান) | জেনারেল আসিম মুনির |
লোকবল | |
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ | ৬,১৭,০০০ |
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ | ৫,০০,০০০ |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | |
ইতিহাস | ১ম পাক-ভারত যুদ্ধ ২য় পাক-ভারত যুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৩য় পাক-ভারত যুদ্ধ সিয়াচেন যুদ্ধ কার্গিল যুদ্ধ |
এই বাহিনীর প্রাথমিক লক্ষ্যগুলি হল: বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, অভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।[2]। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বাহিনী বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী একত্রে তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে। যেগুলো প্রতিবেশী ভারত এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়।[3]
১৯৪৭ সাল হতে আজ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী তিনটি পাক-ভারত যুদ্ধ, একটি অঘোষিত যুদ্ধ (কার্গিল যুদ্ধ), এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় সহযোগী রাজাকার বাহিনী, আল বদর ও আল শামস এর হাতে ৩০ লাখ সাধারণ মানুষের প্রাণহানী ঘটে [4]। যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে ঢাকার রেসকোর্সে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনার এই আত্মসমর্পণ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পণের ঘটনা।