সাদ্দাম হুসাইন
ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
সাদ্দাম হোসেন আবদুল মাজিদ আল তিকরিতি (আরবি: صدام حسين التكريتي Ṣaddām Ḥusayn ʿAbd al-Majīd al-Tikrītī (২৮ এপ্রিল ১৯৩৭- ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬) ছিলেন ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৬ জুলাই ১৯৭৯ থেকে ৯ এপ্রিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বকরের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সেই সময় সাদ্দাম দৃঢ় ভাবে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটান। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন। সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন (১৯৮০-১৯৮৮)।
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
সাদ্দাম হোসেন আবদুল মাজিদ আল তিকরিতি صدام حسين عبد المجيد التكريتي | |
---|---|
ইরাকের ৫ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ জুলাই ১৬, ১৯৭৯ – এপ্রিল ৯, ২০০৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | সা'দুন হাম্মাদ মোহাম্মাদ আমজে জুবাইদ আহমেদ হুসাইন |
পূর্বসূরী | আহমেদ হাসান আল বাকির |
উত্তরসূরী | যে গারনার |
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ মে ১৯, ১৯৯৪ [1][2] – এপ্রিল ৯, ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | আহমেদ হুসাইন খুদাইর |
উত্তরসূরী | বাহার আল উলুম |
কাজের মেয়াদ জুলাই ১৬, ১৯৭৯ – মার্চ ২৩, ১৯৯১ | |
পূর্বসূরী | য়াহমেদ হাসান আল বাকির |
উত্তরসূরী | সি'দুন হাম্মাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | এপ্রিল ২৮, ১৯৩৭ আল-আওজা, ইরাক |
মৃত্যু | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬(2006-12-30) (বয়স ৬৯) কাধিমিয়া, ইরাক |
রাজনৈতিক দল | বাথ পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সাজিদা তালফা, সামিরা শাহবানদার |
সন্তান | ৫ |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। সাদ্দাম তাঁর মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। যেমন, ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগণ। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে, সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন (যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে এমন কোন অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায় নাই)। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]