নীলকান্ত কৃষ্ণন
ভারতীয় এডমিরাল (১৯১৯-৮২) / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভাইস এডমিরাল নীলকান্ত কৃষ্ণন (৮ জুন, ১৯১৯ - ৩০ জানুয়ারি, ১৯৮২) ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন ফ্ল্যাগ অফিসার ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ পূর্ব নৌসেনা কমান্ড ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বন্দরে থাকা পাকিস্তানের জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভাইস এডমিরাল নীলকান্ত কৃষ্ণন | |
---|---|
জন্ম | (১৯১৯-০৬-০৮)৮ জুন ১৯১৯[1] |
মৃত্যু | ৩০ জানুয়ারি ১৯৮২(1982-01-30) (বয়স ৬২)[2] হায়দরাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ[2] |
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
সেবা/ | ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৩৮-১৯৪৭, ১৯৪৭-১৯৭৬ |
পদমর্যাদা | ভাইস এডমিরাল |
নেতৃত্বসমূহ |
|
যুদ্ধ/সংগ্রাম | ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ গোয়ার সংযোজন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ পরম বিশিষ্ট সেবা পদক বিশিষ্ট পরিষেবা ক্রস |
অন্য কাজ | চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড |
নীলকান্ত কৃষ্ণন নাগেরকোইলের একটি স্বনামধন্য তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ট্রেনিং শিপ ডাফরিনে যোগ দেন, যেখানে তার ব্যাচমেট ছিলেন জল কার্সেটজি। রাজকীয় নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজে প্রশিক্ষণের পর তাকে জরিপ জাহাজ এইচএমআইএস ইনভেস্টিগেটরে পদায়ন করা হয়। ১৯৪১ সালের আগস্টে ইরানে ইঙ্গ–সোভিয়েত আক্রমণের সময় কৃষ্ণন একটি ইরানি গানবোট দখল করেছিলেন। এই কাজের জন্য রাজকীয় ভারতীয় নৌবাহিনী মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম বিশিষ্ট পরিষেবা ক্রস অর্জন করেন।
ভারতের স্বাধীনতার পর কৃষ্ণন নৌ সদরদপ্তরে স্টাফ অফিসার প্ল্যান এবং পরে নেভাল প্ল্যান অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ল্যাটিমারের জয়েন্ট সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে যোগ দেন এবং লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে উপ-নৌ উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং ৩১তম মাইনসুইপিং স্কোয়াড্রন এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ জাহাজ আইএনএস তির (কে২৫৬) এর কমান্ডার হিসেবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকে নৌবহরের পর্যালোচনায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নীলকান্ত পরবর্তীকালে নৌ সদরদপ্তরে পার্সোনেল সার্ভিসের ডিরেক্টর এবং কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে (মিলিটারি উইং) ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গোয়া সংযুক্তিকরণের সময় কৃষ্ণন আইএনএস দিল্লি (সি৭৪) এবং পরবর্তীতে নৌবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আইএনএস শিবাজির কমান্ডার ছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (আর১১) এর দ্বিতীয় কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজে পড়ার পর তিনি যুক্তরাজ্যে ভারতের হাই কমিশনারের নৌ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৬৭ সালে ফ্ল্যাগ র্যাঙ্কে উন্নীত হয়ে নীলকান্ত নৌবাহিনীর দ্বিতীয় ভাইস চিফ নিযুক্ত হন। তিনি পরবর্তীতে পশ্চিম নৌসেনা কমান্ড এবং পরে পূর্ব নৌসেনা কমান্ডের কমান্ডার নিযুক্ত হন। পূর্ব নৌসেনা কমান্ডের কমান্ডার থাকাকালে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ছিল। তিনি উদ্ভাবনী কৌশলের মাধ্যমে অনুসন্ধান ও ধ্বংস মিশনে থাকা পাকিস্তানি সাবমেরিন পিএনএস গাজীকে বিশাখাপত্তনমে প্রবেশের সময় বিধ্বস্ত করেছিলেন।[3] লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী যখন পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন তখন তিনি রমনা রেসকোর্সে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরম বিশিষ্ট সেবা পদকসহ তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত হন।