পেশমারগা
From Wikipedia, the free encyclopedia
পেশমারগা ( কুর্দি: پێشمەرگه –অনু. এমন সৈন্য, যারা মৃত্যুর মুখোমুখি হয় ) [1] হলো ইরাকি কুর্দিস্তানের স্থায়ী সামরিক বাহিনী। ইরাকী সংবিধান অনুসারে, পেশমার্গা এবং তাদের নিরাপত্তা-সহায়ক সংস্থাগুলি কুর্দিস্তানের নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। এর কারণ, ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর ইরাকি কুর্দিস্তানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। [2] [3] [4] [5] [6] [7] [8] এর সহায়ক সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে, আসাইশ (গোয়েন্দা সংস্থা ), প্যারাস্টিন ও জানিয়ারি (সহায়ক গোয়েন্দা সংস্থা) ও জেরাভানি। পেশমারগার ইতিহাস ১৮ শতকে ফিরে যায়, যখন তারা উসমানীয় তুর্কি ও সাফাভিদের অধীনে কঠোরভাবে উপজাতীয় ছদ্ম-সামরিক সীমান্ত রক্ষী হিসাবে শুরু করেছিল। ১৯ শতকের মধ্যে তারা একটি সুশৃঙ্খল এবং সুপ্রশিক্ষিত গেরিলা বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিকভাবে পেশমার্গা ইরাকি কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের পেশমারগা–বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তবে বাস্তবে পেশমারগার কাঠামো মূলত দুইটি ইরাকি কুর্দি রাজনৈতিক দল দ্বারা বিভক্ত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়: কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কুর্দিস্তান দেশপ্রেমিক ইউনিয়ন। [9]
২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পর পেশমারগারা ক্ষমতাচ্যুত ইরাকীয় প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে বন্দী করার মিশনে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। [10] [11] ২০০৪ সালে তারা সৌদি বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি জিহাদি হাসান গুলকে বন্দী করে, যিনি ইরাকে আল-কায়েদার হয়ে কাজ করতেন এবং গুলকে খুব শীঘ্রই মার্কিন গোয়েন্দা অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি আল-কায়েদার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় প্রকাশ করেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে পাকিস্তানে একটি গোপন মার্কিন সামরিক অভিযানকালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার দিকে পরিচালিত করে। [12] [13] [14] এক বছর পর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি মার্কিন ড্রোন হামলায় গুলকে হত্যা করা হয়।