উসমানীয় সাম্রাজ্য
দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার প্রাক্তন সাম্রাজ্য (১২৯৯-১৯২২) / From Wikipedia, the free encyclopedia
উসমানীয় সাম্রাজ্য (উসমানীয় তুর্কি: دولت عليه عثمانيه Devlet-i ʿAlīye-i ʿOsmānīye, আক্ষ. অনু. মহিমান্বিত উসমানীয় রাষ্ট্র; তুর্কি: Osmanlı İmparatorluğu বা Osmanlı Devleti; ফরাসি: Empire ottoman)[টীকা 4][16] ছিল একটি রাষ্ট্র[টীকা 5] যা ১৪শ থেকে প্রারম্ভিক ২০শ শতাব্দী পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত। এই সাম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর পিতা আরতুগ্রুল গাজী। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান এর পিতা আরতুগ্রুল গাজী উত্তর-পশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কর্তৃক, প্রথম দিকে রোমের সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও রোমের সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন [17] এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী। প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে। ১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে। [18][19][20]
মহিমান্বিত উসমানীয় সাম্রাজ্য دولت عليه عثمانیه Devlet-i ʿAlīye-i ʿOsmānīye Osmanlı İmparatorluğu | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১২৯৯–১৯২৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: একাধিক (১৮০৮–১৯২২ পর্যন্ত) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উসমানীয়া সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সীমানা, ১৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাজধানী |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | উসমানীয় | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র, মজলিসে শুরা, খিলাফত (১২৯৯–১৮৭৬) (১৮৭৮–১৯০৮) (১৯২০–১৯২২) সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (১৮৭৬–১৮৭৮) (১৯০৮–১৯২০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সুলতান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১২৯৯–১৩২৬ | প্রথম উসমান (প্রথম) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৯১৮–১৯২২ | ষষ্ঠ মুহাম্মদ (সর্বশেষ) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খলিফা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৫১৭–১৫২০ | প্রথম সেলিম (প্রথম)[12] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৯২২–১৯২৪ | দ্বিতীয় আবদুল মজিদ (শেষ) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উজিরে আজম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৩২০–১৩৩১ | আলাউদ্দিন পাশা (প্রথম) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৯২০–১৯২২ | আহমেদ তৌফিক পাশা (শেষ) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আইন-সভা | ইসলামি বিচারব্যবস্থা শরিয়াহ ও সংসদ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• উচ্চকক্ষ | সেনেট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• নিম্নকক্ষ | চেম্বার অব ডেপুটি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১২৯৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৪০২–১৪১৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৪৫৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭৬–১৮৭৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ | ১৯০৮–১৯২০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• সাব্লাইম পোর্টে আক্রমণ | ২৩ জানুয়ারি ১৯১৩ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১ নভেম্বর ১৯২২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২৯ অক্টোবর ১৯২৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৩ মার্চ ১৯২৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• মোট | ১৮,০০,০০০ কিমি২ (৬,৯০,০০০ মা২) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৬৮৩[13] | ৫২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (২০,০০,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১৪[14] | ১৮,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৯০,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৮৫৬ | ৩৫৩৫০০০০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৯০৬ | ২০৮৮৪০০০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৯১২[15] | ২৪০০০০০০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুদ্রা | আকচে, পারা, সুলতানি, কুরুশ, লিরা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ |
|
১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও আফ্রিকার শৃঙ্গ জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল।[21] ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়।
উসমানীয় সাম্রাজ্য সুদীর্ঘ ছয়শত বছরেরও বেশি ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে দীর্ঘদিনব্যাপী ইউরোপীয়দের তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ধারাবাহিক অবনতির ফলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর আনাতোলিয়ায় নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আধুনিক তুরস্কের উদ্ভব হয়। বলকান ও মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যের সাবেক অংশগুলো প্রায় ৪৯টি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[22]