ইমেলদা মার্কোস
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইমেলদা মার্কোস (জন্ম: ২ জুলাই, ১৯২৯) ম্যানিলায় জন্মগ্রহণকারী ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক ও রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিধবা স্ত্রী। ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ মেয়াদে ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডির মর্যাদা উপভোগ করেন। স্বামী কর্তৃক ১৯৭২ সালে সামরিক আইন জারীর পর তিনি তার কার্যকলাপ ও দৃষ্টি আকর্ষণের কারণে ‘সামরিকতন্ত্রের অর্ধাঙ্গীনি’ হিসেবে পরিচিতি পান।[1][2] ‘স্টিল বাটারফ্লাই’ বা ‘ইস্পাতসদৃশ প্রজাপতি’ ডাকনামেও তার পরিচিতি রয়েছে।[3][4][5][6][7][8][9]
সম্মানীয়া ইমেলদা মার্কোস | |
---|---|
ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি | |
কাজের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ – ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ | |
রাষ্ট্রপতি | ফার্দিনান্দ মার্কোস |
পূর্বসূরী | ইভা ম্যাকাপাগাল |
উত্তরসূরী | আমেলিতা রামোস |
মেট্রো ম্যানিলার গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ – ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ | |
রাষ্ট্রপতি | ফার্দিনান্দ মার্কোস |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্ট |
উত্তরসূরী | জেজোমার বিনয় |
লেতের প্রথম জেলা থেকে ফিলিপাইনের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুন, ১৯৯৫ – ৩০ জুন, ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | ফিদেল ভি. রামোস |
পূর্বসূরী | সিরিলো রায় মন্টেজো |
উত্তরসূরী | আলফ্রেড রোমুয়ালদেজ |
ইলোকস নর্টে দ্বিতীয় জেলা থেকে ফিলিপাইনের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩০ জুন, ২০১০ | |
রাষ্ট্রপতি | তৃতীয় বেনিগনো অ্যাকুইনো |
পূর্বসূরী | বংবং মার্কোস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ইমেলদা রেমেদিওস ভিসিতাসিওন রমুয়ালদেজ (1929-07-02) জুলাই ২, ১৯২৯ (বয়স ৯৪) ম্যানিলা, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ |
জাতীয়তা | ফিলিপিনো |
রাজনৈতিক দল | কিলুস্যাং বাগং লিপুনান (১৯৭৮-বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ন্যাসিওনালিস্তা (১৯৬৫-১৯৭৮; ২০০৯-বর্তমান) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফার্দিনান্দ মার্কোস (১৯৫৪-১৯৮৯; মৃত্যু) |
সন্তান | ইমি বংবং ইরিন এমি |
ধর্ম | ক্যাথলিক |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | Kundiman |
বাদ্যযন্ত্র | Vocals |
কার্যকাল | 1950s–present |
১৯৫৪ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোসের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৮৩ সালে প্রতিপক্ষীয় নেতা বেনিগনো অ্যাকুইনো, জুনিয়রের হত্যাকাণ্ডের পর জন শক্তি বিপ্লবের অংশ হিসেবে ব্যাপক জনরোষের কবলে পড়ে মার্কোস সরকার। এরফলে মার্কোস পরিবারকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে পাঠানো হয় ও অ্যাকুইনো’র বিধবা পত্নী কোরাজন অ্যাকুইনো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু, মার্কোসের দেহাবসানের পর ইমেলদা পুনরায় ফিলিপাইনে ফিরে আসেন। ১৯৯৫ সালে লেতে নির্বাচনী এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধি সভায় নির্বাচিত হন। এরপর ২০১০ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে ইলোকোস নর্তে থেকে বিজয়ী হন।
শতশত ফৌজদারী অপরাধে তাঁকে চিহ্নিত করা হলেও ইমেলদা কখনও কারাভোগ করেননি। ফিলিপাইনের রাজনীতিতে তাঁর পরিবার ব্যাপক প্রভাববিস্তার করে আছে। নিজ কন্যা ইমি এবং পুত্র বংবং জাতীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সহস্রাধিক জোড়া জুতা সংগ্রহের কারণেও তিনি বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেয়েছেন।[10]