কালিকা পুরাণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
কালিকা পুরাণ (সংস্কৃত: कालिका पुराण, আইএএসটি: Kālikā Purāṇa) (খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। অষ্টাদশ উপপুরাণের অন্যতম। প্রাপ্ত পাঠটিতে ৯৮টি অধ্যায় ও ৯০০০ শ্লোক রয়েছে। এটি কালী ও তাঁর কয়েকটি বিশেষ রূপের (যথা, গিরিজা, ভদ্রকালী ও মহামায়া) উদ্দেশ্যে রচিত একমাত্র গ্রন্থ। এই পুরাণে কামরূপ তীর্থের পর্বত ও নদনদী এবং কামাখ্যা মন্দিরের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।[1] কালী, কামাখ্যা ও দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবীর পূজাপদ্ধতি এই পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। সেই কারণে এটি হিন্দুধর্মের শাক্ত শাখার ধর্মগ্রন্থ। সম্ভবত এই গ্রন্থ কামরূপ (বর্তমান অসম) বা বঙ্গদেশে লিখিত হয়েছিল। এই পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ। কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের "নিবন্ধ" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন।[2] এই পুরাণে বেশ কিছু পূর্বপ্রচলিত পৌরাণিক উপাখ্যানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পুরাণ সেই সব বিরল হিন্দু ধর্মগ্রন্থের একটি যেখানে "হিন্দু" শব্দটি পাওয়া যায়।
কালিকা পুরাণের সবচেয়ে পুরনো মুদ্রিত সংস্করণটি হল ১৯০৭ সালে প্রাকশিত বোম্বাই ভেঙ্কটেশ্বর প্রেস সংস্করণটি। এরপর ১৯০৯ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী প্রেস থেকে এর প্রথম মুদ্রিত বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়।