কেনান
From Wikipedia, the free encyclopedia
কেনান (উত্তরপশ্চিম সেমিটীয়: knaʿn; ফৈনীকী: 𐤊𐤍𐤏𐤍 – Kenāʿan; হিব্রু ভাষায়: כְּנַעַן – Kənáʿan, বা כְּנָעַן – Kənā́ʿan; টেমপ্লেট:Lang-grc-bib – Khanaan;[1] আরবি: كَنْعَانُ – Kanʿān) ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দে প্রাচীন নিকট প্রাচ্যের একটি সেমিটিকভাষী সভ্যতা ও অঞ্চল। কনান নামটি পুরো বাইবেলে বহুবার আবির্ভূত হয়, যেখানে এটি লেভান্তের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, বিশেষত দক্ষিণ লেভান্তের সেই অঞ্চলগুলির সাথে যা বাইবেলীয় বর্ণনার মূল বিন্যাস প্রদান করে: ফৈনীকিয়া, পলেষ্টিয়া, ইস্রায়েল দেশ এবং অন্যান্য।
কনান 𐤊𐤍𐤏𐤍 (Phoenician) כְּנַעַן (হিব্রু) [Χανααν] ত্রুটি: {{স্থানীয় নাম}}: unrecognized private tag: biblical (সাহায্য) (ভাষা?) كَنْعَانُ (আরবি) | |
---|---|
অঞ্চল | |
ব্রোঞ্জ যুগে প্রধান কনানীয় নগররাষ্ট্রসমূহ | |
শাসনতন্ত্র ও জনগণ | |
কনানীয় ভাষাসমূহ |
|
"কনানীয়" শব্দটি দক্ষিণাঞ্চলীয় লেভান্ত বা কনান অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে—স্থায়ী এবং যাযাবর-মেষপালক উভয়ই—ধারণকারী একটি পাকড়শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[2] এটি বাইবেলে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক ব্যবহৃত জাতিগত শব্দ।[3] যিহোশূয়ের পুস্তকে কনানীয়দের নির্মূল করার জন্য বিভিন্ন জাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে[4] এবং পরবর্তীতে ইস্রায়েলীয়দের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[5] বাইবেলীয় পণ্ডিত মার্ক স্মিথ বলেন যে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য থেকে জানা যায় যে, “ইস্রায়েলীয় সংস্কৃতি প্রচুর পরিমাণে কনানীয় সংস্কৃতির উপর সমাপতিত হয়েছিল এবং আহরণ করেছিল… সংক্ষেপে বলতে গেলে ইস্রায়েলীয় সংস্কৃতি স্বভাবগতভাবে মূলত কনানীয় ছিল।”[6]:১৩–১৪[7][8] “কনানীয়” নামটি বহু শতাব্দী পর প্রাচীন গ্রীকদের কাছে পরবর্তীকালে আনু. ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে ফৈনীকীয় হিসাবে পরিচিত জনগোষ্ঠীর আন্তঃনাম হিসাবে সত্যায়িত হয়[5] এবং কনানীয়ভাষীদের কার্থেজে (খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত) অভিবাসিত হওয়ার পর উত্তর আফ্রিকার বিলম্বিত প্রাচীনকালীন পুণিকদের দ্বারা স্ব-পদবি এটি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
বিলম্বিত ব্রোঞ্জ যুগের আমর্না সময়কালে (খ্রীষ্টপূর্ব ১৪শ শতাব্দী) কনান দেশের তাৎপর্যপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল কেননা মিসরীয়, হিত্তীয়, মিতান্নি এবং অশূরীয় সাম্রাজ্যের আগ্রহক্ষেত্র এই একই বিন্দুতে এসে মিলিত হয়েছিল। কনান সম্পর্কে অনেক আধুনিক জ্ঞান এই অঞ্চলের তেল হাৎসোর, তেল মগিদ্দো, ঐন অসূর এবং গেষরের মতো স্থানগুলিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে প্রাপ্ত।