বিহার
ভারতের একটি রাজ্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিহার (হিন্দি: बिहार, উর্দু: بہار; /bɪˈhɑːr/; হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: [bɪˈɦaːr] (শুনুনⓘ)) পূর্ব ভারতের একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ৯৪,১৬৩ বর্গকিলোমিটার (৩৬,৩৫৭ বর্গমাইল)। আয়তনের বিচারে এটি দেশের দ্বাদশ বৃহত্তম রাজ্য। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে বিহার ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য। এই রাজ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। বিহারিদের ৫৮ শতাংশের বয়স পঁচিশের কম।[5] এই হার ভারতের ক্ষেত্রে সর্বাধিক। বিহার পূর্বদিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চল এবং পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশের প্রায়-আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর ফলে বিহারের জলবায়ু, অর্থনীতি এমনকি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উক্ত রাজ্যদ্বয়ের মাঝামাঝি স্তরের। এই রাজ্যের উত্তরে নেপাল রাষ্ট্র এবং দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। বিহারের সমভূমি অঞ্চল এই রাজ্যের পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত গঙ্গা নদী কর্তৃক দ্বিধাবিভক্ত। বিহারের প্রজ্ঞাপিত বনাঞ্চলের পরিমাণ ৬,৭৬৪.১৪ বর্গকিলোমিটার[6] যা এই রাজ্যের ভৌগোলিক আয়তনের ৬.৮ শতাংশ। রাজ্যের সরকারি ভাষা হিন্দি ও উর্দু। কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা অঙ্গিকা, ভোজপুরি, মাগধী, মৈথিলী ও বজ্জিকার মধ্যে যে কোনো একটি বিহারি ভাষা।
বিহার बिहार بہار | |
---|---|
রাজ্য | |
ঘড়ির কাঁটার মতো উপরে ডান দিক থেকে: মহাবোধি মন্দির; প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়; পাটনা জাদুঘর, তখত শ্রী পাটনা সাহেব, দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মস্থান; কুম্ভরার প্রাচীন শহরের পাটলীপুত্র ধ্বংসাবশেষের অবস্থান; রাজেন্দ্র সেতু গঙ্গা নদীর উপর; মিথিলা অঞ্চলের মধুবনী চিত্রকলা; খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দী Maa মুন্ডেশ্বরী মন্দির; এবং ঘোরা কাতোরা হ্রদে রাজগির | |
সঙ্গীত: Mere Bharat Ke Kanth Haar (The Garland of My India) | |
বিহার, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (পাটনা): ২৫.৪° উত্তর ৮৫.১° পূর্ব / 25.4; 85.1 | |
দেশ | ভারত |
স্থাপিত | ২২ মার্চ ১৯১২ |
রাজ্যর মর্যাদা | ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ |
রাজধানী | পাটনা |
সব থেকে বড় শহর | পাটনা |
জেলা | ৩৮ |
সরকার | |
• শাসক | বিহার সরকার |
• গভর্নর | টেমপ্লেট:Bihar governor[1] |
• মুখ্যমন্ত্রী | নিতিশ কুমার |
• উপ মুখ্যমন্ত্রী | |
• Legislature |
|
• লোকসভা কেন্দ্র | রাজ্যসভা (১৬ সীট) লোকসভা (৪০ সীট) |
Languages | |
• Official | Hindi[3] |
• Additional official | Urdu[4] |
UN/LOCODE | INBR |
যানবাহন নিবন্ধন | BR |
ওয়েবসাইট | Official Website |
প্রতীকসমূহ of Bihar | |
Emblem | Emblem of Bihar |
Song | Mere Bharat Ke Kanth Haar (The Garland of My India) |
Mammal | Gaur (Mithun) |
Bird | House Sparrow (Passer domesticus) |
Flower | Kachnar (Phanera variegata) |
Fruit | Mango (Mangifera indica) |
Tree | Peepal tree (Ficus religiosa) |
|
বর্তমানে বিহার অবশ্য মানবীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে একটি পিছিয়ে পড়া ভারতীয় রাজ্য।[7][8][9] অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মীরা দাবি করেন এই পিছিয়ে পড়ার কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের জটিল পণ্য সমতা নীতি,[10][11] ও বিহারে এই নীতির বিরূপ প্রভাব[5][12][13] এবং বিহারী উপ-জাতীয়তাবাদের অভাব,[11][14][15] এছাড়াও ১৭৯৩ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তও এই অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী।[11]
২০২০-২১ অর্থবছরে বিহারের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হয়েছে ৬.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা কিউবা-এর সমতুল্য ।
রাজ্যের প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি হচ্ছে কৃষিকাজ। শিল্পক্ষেত্রে এখনও অনগ্রসর।
বেকারত্ব হার-এ এই রাজ্য ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। ১৫-২৯ বর্ষীয়দের ৩০.৯% এবং সামগ্রিকভাবে ৯.৮% অংশগ্রহণ রয়েছে । শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার-এ এই রাজ্য ভারতের সর্বনিম্ম স্থানে রয়েছে। ১৫-২৯ বর্ষীয়দের ২৭.৬% এবং সামগ্রিকভাবে ৪০.৪% অংশগ্রহণ রয়েছে মাত্র। বিহার ভারতের অন্যতম জনশক্তি সরবরাহকারী রাজ্য। এখানের সুলভ শ্রমিক ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি জমায়।