লাল বাহাদুর শাস্ত্রী
ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী(উচ্চারিত [laːl bəˈɦaːd̪ʊr ˈʃaːst̪ri]; শুনুনⓘ, ২ অক্টোবর ১৯০৪ – ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬) ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন দলনেতা।
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী | |
---|---|
২য় ভারতের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুন ১৯৬৪ – ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬ | |
রাষ্ট্রপতি | সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ |
পূর্বসূরী | জওহরলাল নেহ্রু |
উত্তরসূরী | সর্দার স্বরণ সিং |
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুন ১৯৬৪ – ১৮ জুলাই ১৯৬৪ | |
পূর্বসূরী | গুলজারিলাল নন্দ |
উত্তরসূরী | সর্দার স্বরন সিং |
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৪ এপ্রিল ১৯৬১ – ২৯ আগস্ট ১৯৬৩ | |
পূর্বসূরী | গোবিন্দ বল্লভ পান্ত |
উত্তরসূরী | গুলজারিলাল নন্দ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯০৪-১০-০২)২ অক্টোবর ১৯০৪ মুগলসরাই, চন্দাউলি, ব্রিটিশ ভারত (উত্তরপ্রদেশ, ভারত) |
মৃত্যু | ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬(1966-01-11) (বয়স ৬১) তাশখন্দ, সোভিয়েত ইউনিয়ন (উজবেকিস্তান) |
উচ্চতা | ৫ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৫৭ মিটার)[1][2] |
দাম্পত্য সঙ্গী | ললিতা শাস্ত্রী |
বাসস্থান | নতুন দিল্লি[3] |
জীবিকা | অধ্যক্ষ সক্রিয়তাবাদ |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
১৯২০ সালে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে তিনি প্রথমে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও পরে জওহরলাল নেহ্রুর একজন বিশ্বস্ত অনুগামী হয়ে ওঠেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে হয়ে ওঠেন জওহরলাল নেহ্রুর অন্যতম প্রধান সঙ্গী, প্রথমে রেলমন্ত্রী(১৯৫১-১৯৫৬) হিসেবে ও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। শাস্ত্রীকে নেহেরুর উত্তরসূরী হিসেবে বাছাই করা হয় যখন নেহেরু পুত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে নাকচ করে দেন।
শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেহেরুর অপক্ষপাত ও সমাজতন্ত্রের নীতিকেই মেনে চলেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাক যুদ্ধে নায়ক ছিলেন ইনিই। তাঁর বিখ্যাত স্লোগান "জয় জওয়ান, জয় কিষান" এই যুদ্ধের সময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। এমনকি এখনও এই স্লোগান মানুষ মনে রেখেছে। [4] ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি তাশখন্দে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এবং পরের দিন ওখানে শাস্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভারত শাস্ত্রী হৃদরোগে মারা গেছেন বলে প্রচার করলেও তাঁর পরিবার তা অস্বীকার করে তদন্তের দাবি তোলে। ভারত মনে করে শাস্ত্রীর মৃত্যু তদন্ত যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই হৃদরোগেই তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) অনেকগুলো ইভিডেন্স ও আলামত দেখিয়ে প্রমাণ করে যে, শাস্ত্রীকে যুদ্ধ বিরতি চুক্তির পর পাকিস্তানি গোয়েন্দারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।