১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ
From Wikipedia, the free encyclopedia
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ বা প্রথম আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রসমূহ ও ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর গুলোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনী মধ্যে সংঘটিত হয়। এটি আরবিতে নাকবা (বিপর্যয়) ও হিব্রুতে মিলখেমেত হাতজমাউত (স্বাধীনতা যুদ্ধ) বলে পরিচিত যা ১৯৪৮ ফিলিস্তিন যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়।
এই নিবন্ধটির তথ্যসূত্র উদ্ধৃতিদানশৈলী ঠিক নেই। (নভেম্বর ২০১৫) |
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: ১৯৪৮ ফিলিস্তিন যুদ্ধ | |||||||||
ক্যাপ্টেন আভরাহাম আদান কর্তৃক উম্মে রাশরাশে পতাকা উত্তোলন | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
২৬ মে ১৯৪৮ এর পূর্বে:
২৬ মে ১৯৪৮ এর পরে:
বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী: মাহাল Czechoslovakia |
অনিয়মিত: বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী: সুদান[5] | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
রাজনীতিবিদ: |
রাজনীতিবিদ: | ||||||||
শক্তি | |||||||||
ইসরায়েল: প্রাথমিকভাবে ২৯,৬৭৭, ১৯৪৯ সালের মার্চ নাগাদ ১,১৭,৫০০ জনে পৌছায়। এতে সমগ্র সামরিক ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছে[6] |
মিশর: প্রাথমিকভাবে ১০,০০০, পরে ২০,০০০ জনে পৌছায়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইরাক: প্রাথমিকভাবে ৩,০০০, পরে ১৫,০০০-১৮,০০০ জনে পৌছায়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সিরিয়া: ২,৫০০–৫,০০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ট্রান্সজর্ডান: ৮,০০০–১২,০০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] লেবানন: ১,০০০[7] সৌদি আরব: ৮০০–১,২০০০ (মিশরীয় কমান্ড) ইয়েমেন: ৩০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জাইশ আল ইনকাজ আল আরাবি: ৩,৫০০–৬,০০০. | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৬,৩৭৩ নিহত (৪,০০০ সৈনিক ও ২,৪০০ বেসামরিক)[8] |
আরব সেনাবাহিনী: ৩,৭০০-৭,০০০ নিহত ফিলিস্তিনি আরব: ৩,০০০-১৩,০০০ নিহত (যোদ্ধা ও বেসামরিক মিলিয়ে)[9][10] |
১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের বেলফোর ঘোষণা ও ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ মেন্ডেটের পর থেকে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলছিল। আরব ও ইহুদি উভয় গোষ্ঠীই ব্রিটিশ নীতির কারণে অসন্তুষ্ট ছিল। ফিলিস্তিনে আরব বিদ্রোহের পর থেকে আরবদের মধ্যে বিরোধী গ্রুপ গড়ে উঠে। ইহুদিদের প্রতিরোধের ফলশ্রুতিতে ইহুদি শক্তির উত্থান হয়। ফিলিস্তিন মেন্ডেটকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনার ফলে সৃষ্ট চলমান উত্তেজনার ফলে ১৯৪৭ এর ৩০ নভেম্বর আরব ও ইহুদিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ফিলিস্তিনকে দুভাগ করে একটি আরব রাষ্ট্র, একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও জেরুজালেমের জন্য একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক শাসন সৃষ্টি করা এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল।
১৯৪৮ এর ১৪ মে চলমান গৃহযুদ্ধ ইসরায়েল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার রাষ্ট্রীয় বিরোধ রূপ নেয়। মিশর, জর্ডান ও সিরিয়া এবং ইরাকের প্রেরণ করা সেনাদলের সম্মিলিত বাহিনী ফিলিস্তিনে ঢুকে পড়ে। তারা আরব অঞ্চলগুলো অধিকার করে নেয় এবং ইসরায়েলি বাহিনী ও বেশ কিছু ইহুদি বসতিতে আক্রমণ করে। [11][12][13] কিছু সন্ধিকালীন সময় বাদে দশমাস যাবত চলা যুদ্ধের বেশীরভাগ সাবেক ব্রিটিশ মেন্ডেট অঞ্চলে এবং অল্প কিছু সময় সিনাই উপদ্বীপ ও দক্ষিণ লেবাবনে সংঘটিত হয়। [14]
যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে ইসরায়েল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রস্তাব ১৮১ কর্তৃক প্রস্তাবিত ভূখণ্ড ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং জাফা, লুদ, রামলা, গেলিলি, নেগেভের কিছু অংশ, তেলআবিব-জেরুজালেম সড়কসহ একটি প্রশস্ত উপত্যকা, পশ্চিম জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের কিছু অংশসহ প্রস্তাবিত আরব রাষ্ট্রের ৬০% এর উপর কর্তৃক স্থাপন করে। ট্রান্সজর্ডান পূর্ব জেরুজালেমসহ অবশিষ্ট পশ্চিম তীরের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। মিশরীয় সেনারা গাযা উপত্যকা অধিকার করে। এতে কোনো আরব ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইরাকি ও ফিলিস্তিনিরা ছাড়া বাকি পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই সংঘর্ষের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের জনসংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ৭০,০০০ এর মত ফিলিস্তিনি আরব ইসরায়েলের অংশ হওয়া অঞ্চল থেকে পালিয়ে যায় বা বহিস্কৃত হয় এবং তারা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। যুদ্ধের পরবর্তী ৩ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য স্থান থেকে প্রায় ৭০,০০০ এর মত ইহুদি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে নাহয় বহিস্কৃত হয়ে ইসরায়েলে বসতি স্থাপন করা অন্যান্য ইহুদি উদ্বাস্তুদের সাথে ইসরায়েলে চলে আসে।[15]