ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস
From Wikipedia, the free encyclopedia
বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের একটি প্রধান ধর্ম। প্রাচীন মগধ রাজ্যে (অধুনা ভারতের বিহার রাজ্য) এই ধর্মের উত্থান ঘটেছিল। এই ধর্মের ভিত্তি গৌতম সিদ্ধার্থের শিক্ষা।[note 1] গৌতম সিদ্ধার্থকে ‘বুদ্ধ’ (‘বোধিপ্রাপ্ত’[3]) বলা হয়। বুদ্ধের জীবদ্দশাতেই বৌদ্ধধর্ম মগধের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে বৌদ্ধ সমাজ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই শাখাদুটি ছিল মহাসাংঘিক ও স্থবিরবাদ। এই দুই শাখাই সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে এবং অসংখ্য উপশাখায় বিভক্ত হয়ে যায়।[4] আধুনিক কালে, বৌদ্ধধর্মের দুটি প্রধান শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এদুটি হল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় থেরবাদ এবং হিমালয় ও পূর্ব এশিয়ায় মহাযান।
গুপ্তযুগের (খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীর) পর থেকে একটি স্বতন্ত্র ও সুসংহত ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব কমে আসতে শুরু করে। ১৩শ শতাব্দী নাগাদ এই ধর্ম তার উৎসভূমি থেকে অবলুপ্ত হয়। তবে বৌদ্ধধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রেখে যায়। হিমালয়ের সিক্কিম, লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চল (পশ্চিমবঙ্গ) এবং হিমাচল প্রদেশের উত্তর অঞ্চলে লাহুল এবং স্পিতি জেলায় বৌদ্ধধর্ম এখনও সর্বাধিক প্রচলিত ধর্মমত। মহাযান বৌদ্ধধর্মের উৎসভূমি অন্ধ্রপ্রদেশেও বৌদ্ধধর্মের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।[5] বিগত শতাব্দীতে বহু ভারতীয় বুদ্ধিজীবীর বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ, বৌদ্ধ তিব্বতি শরণার্থীদের এদেশে আশ্রয় গ্রহণ এবং অসংখ্য হিন্দু দলিতের বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরণের ফলে ভারতে আবার বৌদ্ধধর্মের পুনর্জাগরণ ঘটছে।[6] ভারতের ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই দেশে বৌদ্ধ জনসংখ্যার হার ০.৮%। প্রায় ৭৯ লক্ষ ৫০ হাজার বৌদ্ধ এদেশে বাস করেন।[7]