ইমাম হোসেনের মাজার
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর মাজার (আরবি: مقام الامام الحسين Urdu: آستان عالیہ حضرت امام حسین) হল শীয়া ইসলামের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় ইমাম হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর সমাধি যা ইরাকের কারবালায় অবস্থিত। এই মাজারটি শীয়া ইসলামের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলী, মুহাম্মাদের দ্বিতীয় দৌহিত্র, যেখানে ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত কারবালার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তার পাশেই অবস্থিত।[1][2] আহলে বায়াত অনুসরণকারীদের কাছে মক্কাও মদিনা শরীফের বাহিরে ইমাম হোসাইন ইবন আলীর মাজার একটি পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং প্রচুর অনুসারী এই মাজার জিয়ারতে আসেন। প্রতি বছর ইমাম হোসাইনের লাখো অনুসারী পবিত্র আশুরা, ইমামম হোসাইন ইবনে আলীর ওফাত বার্ষিক হিসেবে স্মরণীয়, পালন করার জন্য আশুরার দিন এখানে উপস্থিত হন। [3] উমাইয়া ও আব্বাসিয়া খলিফারা মাজার নির্মাণের কাজে বাধা প্রদান করেছিল এবং এই মাজার জিয়ারত করাকে নিরুৎসাহিত করেছিল।[4] মাজারটি ৮৫০-৮৫ী১ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসিয়া খলিফা আল মোতাওয়াক্কিল ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং আহলে বায়াতের সকল প্রকারের মাজার নির্মাণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু ৯৭৯-৮০ খ্রিষ্টাব্দে বুয়াইহিদ আমির আবুদ আল-দাউলা কারবালা এবং নাজাফে মাজার নির্মাণ করেছিলেন।[5] মাজারের সীমানা দেয়াল কাঁচ দ্বারা সজ্জিত কাঠের দরজা দ্বারা বেষ্টিত করা হয়েছে। ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর রওজা একটি ধাতব-জালিকার মত আকৃতি দ্বারা আবদ্ধ করা হয়েছে এবং রওজাটি ঠিক সোনালী গম্বুজের নিচেই অবস্থিত। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ “‘জারিহ’’’ (ধাতব-জালিকার মত আকৃতি) প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয় এবং নতুন “‘জারিহ’’’ উদ্বোধন করা হয়। [6] মাজারের পাশে আল আব্বাস মসজিদ অ বস্থিত।
ইমাম হোসাইনের মাজার | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | আহলে বায়াত |
অবস্থান | |
অবস্থান | কারবালা, ইরাক |
স্থানাঙ্ক | ৩২.৬১৬৩৬৫° উত্তর ৪৪.০৩২৩১৩° পূর্ব / 32.616365; 44.032313 |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |