কঙ্গো নদী
মধ্য আফ্রিকার নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কঙ্গো নদী ( কঙ্গো: Nzâdi Kôngo, ফরাসি: Fleuve Congo, পর্তুগিজ: Rio Congo), যা পূর্বে জায়ার নদী নামে পরিচিত ছিল– হলো নীল নদের পর আফ্রিকার ২য় দীর্ঘতম নদী। একইসাথে পানি প্রবাহের পরিমাণের দিক থেকে আমাজনের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। সেই সাথে এটি বিশ্বের গভীরতম নথিভুক্ত নদী। এর পরিমাপকৃত গভীরতা প্রায় ২১৯.৫ মি (৭২০ ফু)।[5] কঙ্গো-লুয়ালাবা-চাম্বেশি নদী ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত এই নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ৪,৭০০ কিমি (২,৯২০ মা) এবং এর মাধ্যমে এটি বিশ্বের নবম দীর্ঘতম নদী হয়েছে। চাম্বেশি হল লুয়ালাবা নদীর একটি উপনদী এবং লুয়ালাবা হল বয়োমা জলপ্রপাতের উজানের দিকে কঙ্গো নদীর নাম , যা ১,৮০০ কিমি (১,১২০ মা) পর্যন্ত বিস্তৃত।
কঙ্গো নদী জায়ার নদী | |
---|---|
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | লুয়ালাবা নদী |
• অবস্থান | বয়োমা জলপ্রপাত |
• উচ্চতা | ১,৫৯০ মি (৫,২২০ ফু) |
মোহনা | আটলান্টিক মহাসাগর |
• স্থানাঙ্ক | ০৬°০৪′২৭″ দক্ষিণ ১২°২৬′৫৯.৯৯″ পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৪,৭০০ কিমি (২,৯০০ মা) |
অববাহিকার আকার | ৪০,১৪,৫০০ কিমি২ (১৫,৫০,০০০ মা২)[1] |
প্রস্থ | |
• সর্বনিম্ন | ২০০ মি (৬৬০ ফু) (নিম্ন কঙ্গো); ১,৪৪০ মি (৪,৭২০ ফু) (মধ্য কঙ্গো)[2][3][4] |
• সর্বোচ্চ | ১৯,০০০ মি (৬২,০০০ ফু) (মুখ) |
গভীরতা | |
• গড় | ১২ মি (৩৯ ফু) থেকে৭৫ মি (২৪৬ ফু) (নিম্ন কঙ্গো); ৫ মি (১৬ ফু) থেকে২২ মি (৭২ ফু) (মধ্য কঙ্গো)[2][3][4] |
• সর্বোচ্চ | ২১৯.৫ মি (৭২০ ফু) (নিম্ন কঙ্গো); ৫০ মি (১৬০ ফু) (মধ্য কঙ্গো)[2][3][4] |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | আটলান্টিক মহাসাগর (নিকট মুখ) |
• গড় | ৪১,২০০ মি৩/সে (১৪,৫০,০০০ ঘনফুট/সে)[1] |
• সর্বনিম্ন | ২৩,০০০ মি৩/সে (৮,১০,০০০ ঘনফুট/সে)[1] |
• সর্বোচ্চ | ৭৫,০০০ মি৩/সে (২৬,০০,০০০ ঘনফুট/সে)[1] |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• বামে | লুবুদি, লোমামি, লুলোঙ্গা, ইকেলেম্বা, রুকি, কাসাই , ইঙ্কিসি |
• ডানে | লুফিরা, লুভুয়া, লুকুগা, লুয়ামা, এলিলা, উলিন্দি, লোওয়া, মাইকো, ইতিম্বিরি, মঙ্গলা, উবাঙ্গি, সংঘা নদী, লেফিনি |
প্রধান উপ-নদী লুয়ালাবা বরাবর পরিমাপ করা হলে কঙ্গো নদীর মোট দৈর্ঘ্য হয় ৪,৩৭০ কিমি (২,৭১৫ মা)। এটিই একমাত্র প্রধান নদী, যা নিরক্ষরেখাকে দুবার অতিক্রম করে।[6] কঙ্গো অববাহিকাের মোট আয়তন প্রায় ৪০,০০,০০০ কিমি২ (১৫,০০,০০০ মা২), যা সমগ্র আফ্রিকার ভূমির ১৩%।