কাঠমান্ডু উপত্যকা
From Wikipedia, the free encyclopedia
কাঠমন্ডু উপত্যকা (নেপালি: काठमाडौं उपत्यका), হলো নেপালে অবস্থিত এমন এক স্থান যেখানে এশিয়ার প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় ৷ এখানে প্রায় ১৩০ টি ভাষ্কর্য আছে ও হিন্দু ও বৌদ্ধের বহু ধর্মীয় নিদর্শন আছে ৷ এই উপত্যকাতেই সাতটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে ৷[1]
ঐতিহাসিকদের মতে, এই উপত্যকা ও তার আশপাশের স্থানগুলো নিয়ে একত্রে নেপাল মন্ডল গঠিত হয় ৷ পনের শতকের আগ পর্যন্ত ভক্তপুর এটার রাজধানী ছিল ৷ এরপর কাঠমন্ডু ও পাঠান নামে দুটি আলাদা রাজধানী গঠিত হয় ৷[2] গোর্খা রাজাদের দ্বারা উপত্যকাটি দখল হওয়ার পর পুনরায় উপত্যকাটিকে গোর্খা রাজত্বের রাজধানী ঘোষণা করা হয় ৷ এই শাসনামলে স্থানটির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয় ৷
কাঠমন্ডু উপত্যকা নেপালে অন্যতম উন্নত ও জনবসতিপূর্ণ স্থান ৷ স্থানটিতে বিভিন্ন অফিস ও সদরদপ্তর অবস্থিত ৷ এটি নেপালের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে ৷ ভ্রমণপিপাসুদের কাছে খুবই জনপ্রিয় স্থান কাঠমন্ডু উপত্যকা ৷ অনন্য স্থাপত্য, দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ ও সংস্কৃতি সকলকে মুগ্ধ করে ৷
২০১৫ সালে ভূমিকম্পে উপত্যকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ [3] ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ও বহু ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৷