খাজা নাজিমুদ্দিন
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ও ২য় গভর্নর জেনারেল / From Wikipedia, the free encyclopedia
খাজা নাজিমুদ্দিন KCIE (উর্দু: خواجہ ناظم الدین; বাংলা: খাজা নাজিমুদ্দীন; ১৯ জুলাই ১৮৯৪ – ২২ অক্টোবর ১৯৬৪) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ছিলেন। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে নাজিমুদ্দিন দুইবার বাংলার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর মৃত্যু পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন। ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের মৃত্যুর পর তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন।[1] তিনি রক্ষণশীল গড়নের ছিলেন এবং তাকে অজনপ্রিয় বিবেচনা করা হয়।
খাজা নাজিমুদ্দীন | |
---|---|
خواجہ ناظم الدین | |
পাকিস্তানের ২য় গভর্নর জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ – ১৭ অক্টোবর ১৯৫১ ১১ নভেম্বর ১৯৪৮ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ জর্জ |
প্রধানমন্ত্রী | লিয়াকত আলি খান |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ |
উত্তরসূরী | মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
পাকিস্তানের ২য় প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৭ অক্টোবর ১৯৫১ – ১৭ এপ্রিল ১৯৫৩ | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ জর্জ দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর জেনারেল | মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
পূর্বসূরী | লিয়াকত আলি খান |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ আলি বগুড়া |
পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ – ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ | |
গভর্নর | স্যার ফ্রেডেরিক চালমার্স |
পূর্বসূরী | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
উত্তরসূরী | নুরুল আমিন |
বাংলার প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৯ এপ্রিল ১৯৪৩ – ৩১ মার্চ ১৯৪৫ | |
গভর্নর | রিচার্ড চেসি, ব্যারন চেসি |
পূর্বসূরী | এ কে ফজলুল হক |
উত্তরসূরী | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৮৯৪-০৭-১৯)১৯ জুলাই ১৮৯৪ ঢাকা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২২ অক্টোবর ১৯৬৪(1964-10-22) (বয়স ৭০) ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) |
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ট্রিনিটি হল, ক্যামব্রিজ |
তার সরকার মাত্র দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। তার সময় গৃহবিবাদ ও বৈদেশিক চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পায় যা তার পদচ্যুতির দিকে ধাবিত হয়। ১৯৫৩ লাহোর দাঙ্গার পর তিনি মেজর জেনারেল আজম খান ও কর্নেল রহিমউদ্দিন খানের অধীনে পাঞ্জাবে সামরিক আইন জারি করেন। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যর্থতার পর পশ্চিম পাকিস্তানে সমাজতন্ত্রের উত্থান ঘটে। পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলনের পর তার সরকার আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের সাথে বৈদেশিক সম্পর্ক ক্রমাবনতি হয় এবং এসব দেশে পাকিস্তান বিরোধী অনুভূতি বৃদ্ধি পায়।
১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হয় এবং সরকারের বাইরে পাঠানো হয়। তার পরে প্রধানমন্ত্রী হন আরেকজন বাঙালি রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আলী বগুড়া। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৯৬৪ সালে ৭০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিজ শহর ঢাকায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।