গ্যাংটক
ভারতের সিকিম রাজ্যের রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
গ্যাংটক (নেপালি: गान्तोक, /ˈɡæŋtɒk/ (শুনুনⓘ); নেপালি উচ্চারণ: [ˈɡantok]) হচ্ছে ভারতের একটি শহর, পৌরসভা, রাজধানী এবং ভারতের সিকিম রাজ্যের বৃহত্তম জনবহুল স্থান। এটি একই সাথে সিকিম রাজ্যের পূর্ব সিকিম জেলা সদর দপ্তর। গ্যাংটক শহরটি পূর্ব হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১,৬৫০ মিটার (৫,৪১০ ফুট)। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১,০০,০০০ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে ভুটিয়া, লেপচা, কিরাটি এবং গোর্খাদের মতো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। হিমালয়ের উচ্চ শিখরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পাশাপাশি সারা বছর ধরে মৃদু নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু থাকায় গ্যাংটক সিকিমের পর্যটন শিল্পের কেন্দ্রে রয়েছে।
গ্যাংটক | |
---|---|
রাজ্যের রাজধানী | |
সিকিমে গ্যাংটকের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭.৩৩° উত্তর ৮৮.৬২° পূর্ব / 27.33; 88.62 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | সিকিম |
জেলা | গ্যাংটক |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | গ্যাংটক পৌর কর্পোরেশন |
• মেয়র | শক্তি সিং চৌধুরী[1] (এসডিএফ) |
আয়তন | |
• মোট | ১৯.২ বর্গকিমি (৭.৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[2] | ১,৬৫০ মিটার (৫,৪১০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,০০,২৯০ |
• জনঘনত্ব | ৫,২০০/বর্গকিমি (১৪,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা[3][4] | |
• অফিসিয়াল | |
• অতিরিক্ত অফিসিয়াল |
|
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭৩৭১০১ |
টেলিফোন কোড | ০৩৫৯২ |
যানবাহন নিবন্ধন | এসকে-০১ |
ওয়েবসাইট | gmcsikkim |
১৮৪০ সালে এনচে মঠ নির্মাণের পর গ্যাংটক একটি জনপ্রিয় বৌদ্ধ তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালে সিকিমের তৎকালীন ক্ষমতাসীন চোগিয়াল থুটোব নামগিয়াল সিকিম রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকে স্থানান্তরিত করেন। ২০ শতকের গোড়ার দিকে, তিব্বতের রাজধানী লাসা এবং ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতার মতো শহরের মধ্যে বাণিজ্য পথে গ্যাংটক একটি প্রধান যাত্রা বিরতির স্থান হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর, সিকিম ভারতে যোগ না দিয়ে একটি স্বাধীন রাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তখনও এই স্বাধীন সিকিম রাজ্যের রাজধানী ছিল গ্যাংটক। নানা ঘটনা প্রবাহের পর ১৯৭৫ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এক বিতর্কিত গণভোটে ভারতের ২২তম রাজ্যে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে ভারতে সিকিমের একীভূত হওয়ার পর, গ্যাংটক ভারতীয় রাজ্য সিকিমের রাজধানী হিসাবে অব্যাহত থাকে।