জব চার্নক
ব্রিটিশ ব্যবসায়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
জব চার্নক (১৬৩০ [1]-১০ জানুয়ারি, ১৬৯৩) ১৭শ শতকের একজন ইংরেজ ব্যবসায়ী। কোম্পানির কাসিমবাজার কারখানায় জব চার্নক ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে একজন নিম্নপদস্থ ব্যবসায়ী হিসেবে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তে যোগদান করেন। যখন ১৬৮৬-৯০ খ্রিস্টাব্দের ইঙ্গ-মুগল যুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি কোম্পানির হুগলি বসতির প্রধান ছিলেন। বাংলা রণাঙ্গনে পরাজিত হলে শীঘ্র ইংরেজদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং তারা ব্যবসায়ে পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয়ে মাদ্রাজে সরে যায়। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলে শায়েস্তা খান এর উত্তরাধিকারী সুবাহদার ইব্রাহিম খান বাংলায় ব্যবসায়-বাণিজ্য পুনরায় শুরু করতে তাদের ডেকে পাঠান। দুটি প্রধান বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে জব চার্নক সুবাহদারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। একটি ছিল ইংরেজদের বসতি হুগলি থেকে সুতানুটিতে স্থানান্তরের প্রস্তাবে সরকারকে অবশ্যই রাজি হতে হবে। দ্বিতীয়ত, বার্ষিক পূর্বনির্দিষ্ট ৩০০০ টাকা কর পরিশোধের বিনিময়ে কোম্পানিকে বাংলায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের অনুমতি প্রদানকারী একটি ফরমানের দ্বারা সুবাহদার তাদেরকে আনুকূল্য করবেন। সুবাহদার ইব্রাহিম খান তাদের উত্থাপিত উভয় পরিকল্পনা মেনে নিতে সম্মত হন। এভাবে উপসাগরীয় পরিষদের প্রধান হিসেবে জব চার্নক ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত জলাভূমি বেষ্টিত সুতানুটির নির্বাচিত জমিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠি স্হাপন করেন । ভারতের পূর্ব সীমান্তে একটি ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির শাখা স্থাপনের প্রতি চার্নকের উচ্চাকাঙ্ক্ষা-চালিত দৃঢ়তা যা তিনি নিজের শর্তে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বর্তমান কলকাতা শহর তৈরিতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছিল।[2]
জব চার্নক | |
---|---|
জন্ম | আনু. ১৬৩০ |
মৃত্যু | ১০ জানুয়ারি ১৬৯৩(1693-01-10) (বয়স ৬৩) |
পেশা | ঔপনিবেশিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর |
স্বাক্ষর | |
চার্নক স্থানীয় একটি নিম্নবর্গীয় মেয়েকে বিয়ে করেন, যাকে তিনি পুনঃনামকরণ করেন মারিয়া। ইংরাজদের রচিত কাহিনী অনুযায়ী, চার্নক তাকে সতীদাহের চিতা থেকে উদ্ধার করে বিয়ে করেন। মারিয়ার গর্ভে তার চারটি কন্যার জন্ম হয়; বাংলায় বসবাসরত ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বিয়ে হয়। চার্নক ১৬৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি কলকাতায় ইহলোক ত্যাগ করেন। তাকে সেন্ট জন দিসিসন্স চার্চে সমাধীত করা হয়।[3]
জব চার্নককে ঔপনিবেশিক ইতিহাসকারগণ কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা বলতেন।[4][5] ২০০৩ সালে কলকাতা উচ্চন্যায়ালয় এক ঐতিহাসিক আদেশে এই তথ্য ভুল ঘোষণা করেন। [6]