জুলাই সঙ্কট
From Wikipedia, the free encyclopedia
সারায়েভো হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরী, জার্মানি, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মধ্যে মাসব্যাপী কুটনৈতিক উত্তেজনা বিদ্যমান থাকে যা জুলাই আল্টিমেটাম বা জুলাই সঙ্কট (ইংরেজি: July Crisis) নামে পরিচিত। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী মনে করা হয় এবং বসনিয়াকে সার্বিয়ার প্রভাবমুক্ত করার জন্য অস্ট্রিয়া – হাঙ্গেরী, সার্বিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রহণযোগ্য দশ দফা দাবি প্রদান করে যা মূলত যুদ্ধকে উসকে দেয়। সার্বিয়া দশটির মধ্যে আটটি দাবি মেনে নিলেও ২৮ জুলাই, ১৯১৪ সালে অস্ট্রিয়া – হাঙ্গেরী যুদ্ধ ঘোষণা করে।
রাশিয়ান সাম্রাজ্য, বালকান অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখা, অস্ট্রিয়া–হাঙ্গেরী ‘আগ্রাসন’ ঠেকানো ও সার্বিয়ানদের সাহায্যের জন্য, এক দিন পরে ২৯, জুলাই আংশিক সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। [1] ৩০ জুলাই জার্মানি সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিলে ঐ দিনই রাশিয়া পূর্ণ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। [2] জার্মানি, বার্লিনে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার অথবা যুদ্ধ মোকাবেলার চরমপত্র প্রদান করে। রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জার্মানি আলোচনা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং ১ আগস্ট, ১৯১৪ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। [2]
জার্মান যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল পূর্বে রাশিয়া আক্রমণ করার আগে পশ্চিমে ফ্রান্সে দ্রুত ও ব্যাপক সেনা অনুপ্রেবেশ ঘটিয়ে ফ্রান্সকে নিরপেক্ষ রাখা। রাশিয়ায় সৈন্য সমাবেশের পাশাপাশি একইসাথে ফ্রান্সকে নিরপেক্ষ থাকার দাবি জানায়। ফ্রান্স সরকার, সেনাবাহিনী কর্তৃক দ্রত সৈন্য সমাবেশের দাবিকে উপেক্ষা করে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য সীমান্তের ১০ কিমি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আদেশ দেয়। জার্মানি ২ আগস্ট লুক্সেমবার্গ আক্রমণ করে এবং ৩ আগস্ট ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। [2] ফ্রান্স আক্রমণের জন্য সেনা পারাপারে বেলজিয়াম অস্বীকৃতি জানালে, ৪ আগস্ট জার্মানি বেলজিয়ামের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করে। [2][3][4] বেলজিয়ামকে নিরপেক্ষ রাখার ব্যাপারে ‘সন্তোষজনক উত্তর’ না পাওয়ায় ৪ আগস্ট ১৯১৪ সালে ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। [5]