জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতি
জ্যোতির্বিজ্ঞানে ব্যবহৃত পঞ্জিকা সাল / From Wikipedia, the free encyclopedia
জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতি (ইংরেজি: Astronomical year numbering) এডি/সিই ভিত্তিক বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতি বা পঞ্জিকা সাল যা সাধারণ দশমিক পূর্ণ সংখ্যা পদ্ধতি কঠোরভাবে মেনে চলে। এই সংখ্যা পদ্ধতিতে বর্ষ ০ রয়েছে; এর পূর্বে থাকা বছরগুলো ঋণাত্মক সংখ্যা এবং এর পরের বছরগুলো ধনাত্মক সংখ্যা হয়।[1] জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শূন্য বর্ষ সমেত ১৫৮২ সালের পূর্বে জুলীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে এবং এর পরে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে যা জ্যাক ক্যাসিনি (১৭৪০),[2] সাইমন নিউকম্ব (১৮৯৮)[3] এবং ফ্রেড এসপেনাক (২০০৭)[4] দ্বারা উদাহরণকৃত।
খ্রিস্টাব্দ (এডি) এবং সাধারণ যুগ (সিই), খ্রিস্টপূর্ব (বিসি) বা সাধারণ যুগ পূর্ব (বিসিই) এই পদ্ধতিতে লেখা হয় না।[1] ১ বিসি/বিসিই কে ০, ২ বিসি/বিসিই কে −১, এবং সাধারণভাবে যেকোন ক খ্রিস্টপূর্বাব্দের বছরকে "−(ক − ১)" এভাবে লেখা হয়[1] (যেকোন ঋণাত্মক সংখ্যা ১ − ক এর সমতুল্য)। এডি/বিসি এর সংখ্যা এই পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয় না বা ধনাত্মক সংখ্যার সাথে লেখা হয় না; সাধারণভাবে এখানে ক খ্রিস্টাব্দ/সাধারণ যুগ কে ক বা +ক হিসেবে লেখা হয়ে থাকে।[1] সাধারণ গণনায় শূন্য সংখ্যাটি প্রায়ই প্রয়োজন হয় যেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে যখন বছরের সংখ্যার গণনা একটি সময় ইপকে চলে আসে তখন শেষের বছরগুলোকে একে অপরের সাথে বিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে।
পদ্ধতিটির এই নামটি জ্যোতির্বিজ্ঞানে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসের বাইরে কিছু ক্ষেত্রগুলো বছর ১ এর আগে সময়গুলো নিয়ে কাজ করে, কিছু ব্যতিক্রম হলো ডেনড্রোক্রোনোলজি, প্রত্নতত্ত্ব ও ভূতত্ত্ব, শেষের দুটি 'বর্তমান পূর্ব' ব্যবহার করে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় ও ঐতিহাসিক বছরের সংখ্যাসূচক মানের মাঝে ১ বর্ষের আগে এক বছরের পার্থক্য থাকলেও গ্রহণ বা গ্রহসংযোগ ব্যবহার করে উল্লেখিত ঐতিহাসিক ঘটনার তারিখ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই তফাতটা গুরুতর।