তাঞ্জাবুর
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ঐতিহাসিক শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
তাঞ্জাবুর ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি শহর, যেটি অতীতে তানজোর[1] নামে পরিচিত ছিল। তাঞ্জাবুর দক্ষিণ ভারতীয় ধর্ম, শিল্প ও স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বিখ্যাত চোল মন্দিরের বেশিরভাগই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিস্তম্ভ, যেগুলি থাঞ্জাভুরের আশেপাশে অবস্থিত। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বৃহদীশ্বর মন্দিরটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। তাঞ্জাবুর এই অঞ্চলের অনন্য চিত্রশৈলী তাঞ্জাবুর চিত্রকর্মেরও কেন্দ্র।
তাঞ্জাবুর তাঞ্জোর | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ১০°৪৭′০০″ উত্তর ৭৯°৮′১০″ পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
অঞ্চল | চোলনাড়ু |
জেলা | তাঞ্জাবুর |
অঞ্চল | কাবেরী বদ্বীপ |
সরকার | |
• ধরন | পৌর সংস্থা |
• শাসক | তাঞ্জাবুর সিটি পৌর সংস্থা |
আয়তন | |
• মোট | ১২৮.০২ বর্গকিমি (৪৯.৪৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১১ |
উচ্চতা | ৮৮ মিটার (২৮৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৯০,৭২৪ |
• জনঘনত্ব | ২,৩০০/বর্গকিমি (৫,৯০০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | তানজোরবাসী |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬১৩ ০XX |
টেলিফোন কোড | ০৪৩৬২ |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন-৪৯ |
তাঞ্জাবুর হল তাঞ্জাবুর জেলার সদর দফতর। শহরটি কাবেরী বদ্বীপে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কেন্দ্র এবং তামিলনাড়ুর ধানের বাটি হিসাবে পরিচিত। ২০১১ সালের হিসাবে ১২৮.০২ বর্গ কিমি (৪৯.৪৩ বর্গ মাইল) আয়তন ও ২,৯০,৭২০ জন জনসংখ্যা বিশিষ্ট তাঞ্জাবুর শহরটি একটি পৌর কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। শহরটিতে রেল যোগাযোগ থাকলেও সড়কপথগুলি পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিকটতম বিমানবন্দর তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা শহর থেকে ৫৯.৬ কিমি (৩৭.০ মাইল) দূরে অবস্থিত। নিকটতম সমুদ্রবন্দরটি কারাইকল, যেটি তাঞ্জাবুর থেকে ৯৪ কিমি (৫৮ মাইল) দূরে অবস্থিত।
চোলা রাজত্বকালে এই শহর প্রথম সুনাম অর্জন করে, যখন এটি সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। চোলদের পতনের পরে শহরটি পাণ্ড্য, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মাদুরাই নায়ক, তাঞ্জাবুর নায়ক, তাঞ্জাবুর মারাঠা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সহ বিভিন্ন সাম্রাজ্যের দ্বারা শাসিত হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে এটি স্বাধীন ভারতের একটি অংশ।