ত্রিশ-পাঁচ-কিলোমিটার (২২ মা) দীর্ঘ দিল্লি চক্ররেল হলো দিল্লি শহরতলীর চক্রাকার পথের রেলওয়ে পরিষেবা, যা দিল্লির অভ্যন্তরীণ চক্রপথের সাথে সমান্তরালে চলে। ১৯৭৫ সালে প্রাথমিকভাবে পুরাতন দিল্লি এবং নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনগুলির মতো ভিড় এবং যাত্রীবহুল স্টেশনগুলিকে বাইপাস করে মালবাহী ট্রেনের পরিষেবা অব্যাহত রাখার জন্য এই রেলপথ চালু হয়৷ ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসের জন্য ২৪ টি অতিরিক্ত পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে এই রেল নেটওয়ার্কটিকে উন্নত করা হয়। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে হযরত নিজামুদ্দীন রেলওয়ে স্টেশন হয়ে সকাল আটটা এবং সকাল সাতটায় চালু হওয়া ট্রেনগুলিকে এই চক্রাকার পথটি সম্পূর্ণ করতে ৯০ থেকে ১২০ মিনিট সময় লাগে। যাতায়াতের টিকিটের হিসাব ধরে যেখানে দিল্লি মেট্রোর খরচ ভারতীয় ৬০ টাকা, সেখানে দিল্লি চক্ররেলের ভাড়া মাত্র ভারতীয় ১২ টাকা হওয়ায় এই পরিষেবা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে।[1][2][3] এই পথে সকাল এবং সন্ধ্যার ভিড়ের সময় ৬০ থেকে ৯০ মিনিটের সর্বোচ্চ ব্যবধানে সাতটি ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ছয়টি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ট্রেন পরিষেবা চলে। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আগে খেলা হবে এমন কাছাকাছি সাতটি স্টেশন তথা চাণক্যপুরী, সরোজিনীনগর, ইন্দ্রপুরী হল্ট, লাজপতনগর, সেবানগর, লোধী কলোনি এবং সফদরজং উন্নয়নের লক্ষ্যে তিন কোটি ভারতীয় টাকা প্রকল্পমূল্য পায়।[4][5]
দ্রুত তথ্য দিল্লি চক্ররেল, সংক্ষিপ্ত বিবরণ ...
বন্ধ