ধ্রুপদী ভাষা
প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য বা ব্যবহার সহ পুরানো ভাষা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ধ্রুপদী ভাষা (ইংরেজি: Classical language) বলতে এমন সব ভাষাকে বোঝায় যেগুলি অত্যন্ত প্রাচীন (আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশি বছর পুরনো), যাদের একটি বৃহৎ ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে, এবং যাদের প্রাচীন সাহিত্যের ঐতিহ্যটি অপর কোন সাহিত্যিক ঐতিহ্যের পরম্পরায় নয়, বরং স্বাধীন ও স্বাবলম্বীভাবে, গড়ে উঠেছিল। [1]
উপরের সংজ্ঞানুযায়ী সংস্কৃত, তামিল, গ্রিক, লাতিন, চীনা, এবং আরবিকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে গণ্য করা যায়।
বেশির ভাগ ধ্রুপদী ভাষাই বর্তমানে মৃত, এগুলিতে এখন আর কেউ সাহিত্য রচনা করেন না। কিন্তু ধ্রুপদী ভাষাগুলির বিভিন্ন উপাদান বিশ্বের বহু আধুনিক ভাষাতে প্রভাব রেখে চলেছে। বিশ্বের অনেক আধুনিক ভাষা নতুন নতুন শব্দ প্রণয়নের জন্য তাদের নিকটবর্তী ধ্রুপদী ভাষাগুলি থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। যেমন আধুনিক ইউরোপীয় ভাষাগুলি নতুন বৈজ্ঞানিক পরিভাষার জন্য লাতিন ও গ্রিক ভাষা থেকে শব্দখণ্ড ধার নিয়েছে। আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলি একই উদ্দেশ্যে অনেক ক্ষেত্রে সংস্কৃত ভাষা থেকে শব্দখণ্ড ধার নিয়েছে।
অনেক সময় "ধ্রুপদী" পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার সাহিত্যিক স্বর্ণযুগে (সাধারণত বর্তমান থেকে বেশ দূরবর্তী অতীতে অবস্থিত কোন যুগে) ব্যবহৃত ভাষাকে বোঝানো হয়ে থাকে। এ অনুসারে ফার্সি ভাষার তুলনামূলকভাবে আধুনিক (৯ম-১৭শ শতকে রচিত) সাহিত্য ধ্রুপদী ফার্সি সাহিত্য নামে পরিচিত। এটি "ধ্রুপদী" পরিভাষাটির অপেক্ষাকৃত সাধারণীকৃত ব্যবহার।