প্রতিবাদী মতবাদ (খ্রিস্টধর্ম)
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রতিবাদী মতবাদ (লাতিন: Protestantes; জার্মান: Protestantismus) হল খ্রিস্টধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাখা যার অনুসারীর সংখ্যা ৮০ কোটি থেকে ১০০ কোটি, যা সমগ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৩৭%।[1][2][lower-alpha 1] এটি ১৬শ শতাব্দীর সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল[lower-alpha 2] যা এর অনুসারীদের মতে ছিল ক্যাথলিক মণ্ডলীর ত্রুটিসমূহের বিরোধী।[4] প্রতিবাদী মতাবলম্বীরা রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীর পোপীয় আধিপত্ত ও ধর্মীয় সংস্কৃতির মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করে, তবে ইউক্যারিস্টে যীশুর প্রকৃত উপস্থিতি এবং মণ্ডলীর শাসনব্যবস্থা ও প্রেরিতীয় উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।[5] তারা সকল বিশ্বাসীদের যাজকত্ব, শুধু বিশ্বাসের দ্বারা নয় বরং ভালো কাজের দ্বারা ন্যায্যতা (সোলা ফিদে) এবং বিশ্বাস ও নৈতিকতায় কেবল বাইবেলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের (সোলা স্ক্রিপতুরা) ওপর জোর দেয়।[6][7]
প্রতিবাদী মতবাদ | |
---|---|
লাতিন: Protestantes | |
প্রকারভেদ | প্রতিবাদী মতবাদ |
ধর্মগ্রন্থ | বাইবেল |
ধর্মতত্ত্ব | প্রতিবাদী ধর্মতত্ত্ব |
সোলা স্ক্রিপতুরা | ধর্মগ্রন্থ |
অঞ্চল | আন্তর্জাতিক |
প্রবর্তক | মার্টিন লুথার |
উৎপত্তি | ষোড়শ শতাব্দী জার্মানি |
সদস্য | ৮০ কোটি – ১০০ কোটি[1] |
খ্রীষ্টানদের মধ্যে যে প্রধান তিনটি ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের একটি গোষ্ঠীর বিশ্বাসকে বলা হয় প্রতিবাদী মতবাদ, যা আসলে কোনো বিশেষ বা নির্দিষ্ট বিশ্বাস নয়, বরং বিভিন্ন ছোটো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিবর্গের সমষ্টি। অনেক ক্ষেত্রে ক্যাথলিক বা সনাতনপন্থী ছাড়া বাকি খ্রীষ্টানদের প্রতিবাদী মতাবলম্বী বলা হয়। ইউরোপে ১৬শ শতকে সংঘটিত প্রতিবাদী সংস্কার-আন্দোলন থেকে এর গোড়াপত্তন হয়েছিল।