বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী নিয়ে গঠিত বাহিনী / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী যা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনীগুলো সাধারণ সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের[3] অধীনে থাকে। তবে, যুদ্ধকালীন সময়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী | |
---|---|
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতীক | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২১ নভেম্বর ১৯৭১; ৫২ বছর আগে (1971-11-21) |
বর্তমান অবস্থা | ১২ জানুয়ারি ১৯৭২; ৫২ বছর আগে (1972-01-12) |
সার্ভিস শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী |
প্রধান কার্যালয় | সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ঢাকা সেনানিবাস |
নেতৃত্ব | |
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার | লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম[1] |
লোকবল | |
সেনাবাহিনীর বয়স | ১৯ |
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ | না |
সামরিক বাহিনীতে সেবাদানে সক্ষম |
৩,৬৫,২০,৪৯১, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০) |
সেনাবাহিনীতে যোগদানের উপযুক্ত |
৩,০৪,৮৬,০৮৬ পুরুষ, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০), ৩,৫৬,১৬,০৯৩ মহিলা, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০) |
বছরে সামরিক বয়সে পৌছায় |
১৬,০৬,৯৬৩ পুরুষ (আনুমানিক ২০১০), ১৬,৮৯,৪৪২ মহিলা(আনুমানিক ২০১০) |
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ | ৩,০৪,০০০(২০২১ est) |
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ | ৬৩,৯০০(২০২১ est) |
নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মিবৃন্দ | জাতিসংঘ মিশনে রয়েছে – ৬,৪১৭ [2] |
ব্যয় | |
বাজেট | ৪.৩ বিলিয়ন (২০২১-২২) |
উদ্যোগ | |
স্থানীয় সরবরাহকারী | বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বঙ্গবন্ধু বৈমানিক সেন্টার খুলনা শিপ ইয়ার্ড |
বৈদেশিক সরবরাহকারী | গণচীন ফ্রান্স ইতালি জার্মানি রাশিয়া দক্ষিণ কোরিয়া তুরস্ক যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ড জাপান সার্বিয়া অস্ট্রিয়া |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | |
ইতিহাস | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭২–১৯৭৫ বাংলাদেশে কমিউনিস্ট বিদ্রোহ পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত উপসাগরীয় যুদ্ধ অপারেশন ক্লিন হার্ট |
|
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় হল প্রধান প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান যেখানে সামরিক আইন তৈরী ও বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সামরিক নীতিমালা এবং কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অন্তর্গত তিন বাহিনীর প্রধান, সামরিক বাহিনী বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবগণ। এছাড়া এনএসআই, ডিজিএফআই, এবং বিজিবি এর সাধারণ পরিচালকগণ এই উপদেষ্টা পদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
১৯৭১-এর ২১শে নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এ কারণে এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনে বঙ্গভবন,সামরিক বাহিনী সদর দফতর, ঢাকা সেনানিবাস এবং দেশের প্রতিটি সামরিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।