বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্ষণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্ষণ বলতে বোঝানো হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহায়তাকারীদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর সদস্যরা দুই থেকে চার লক্ষ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করে।[1][2][3][4] গবেষকদের মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মুসলিম এবং সংখ্যালঘু হিন্দু উভয় সম্প্রদায়কে ভীতসন্ত্রস্ত করতে এই ধর্ষণ চালানো হয়েছিল। এর ফলে হাজার হাজার নারী গর্ভধারণ করেন, যুদ্ধশিশুর জন্ম হয় এবং গর্ভপাত, আত্মহত্যা ইত্যাদি সমস্যার সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এই যুদ্ধাপরাধের[5] সমাপ্তি ঘটে।[6][7] প্রথমদিকে ভারত দাবি করেছিল যে তারা মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করছে। পরবর্তীতে তারা মানবাধিকারের প্রেক্ষাপট থেকে এই যুদ্ধে অংশ নেয়াকে ব্যাখ্যা করে। কিন্ত জাতিসংঘ তাদের এই দাবি অগ্রাহ্য করলে তারা দাবি করে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ প্রয়োজন।[8][9] বর্তমানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণের মানবিক দিকটাই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে।[10] স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪০ বছর পরে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ধর্ষণসহ বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধে ১,৫৯৭ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে। ২০১০ থেকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল কয়েক জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দিয়েছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে, সাহিত্যে এবং চিত্রকর্মে ধর্ষিতাদের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।