বোধিসত্ত্ব তারার মূর্তি
৭ম-৮ম শতকের শ্রীলঙ্কার বোধিসত্ত্ব মূর্তি / From Wikipedia, the free encyclopedia
বৌদ্ধ মহাযানে উল্লেখিত নারী বোধিসত্ত্ব তারার এই উন্মুক্ত বক্ষ, বক্র নিতম্ব ও সরু কোমরের ভাস্কর্যটি ৭ম থেকে ৮ম শতকের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত বলে ধরা হয়। ব্রোঞ্জের ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া এই মূর্তিটি শ্রীলঙ্কায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক বোধিসত্ত্ব মূর্তিগুলোরর একটি, যার বর্তমান অবস্থান লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় সম্প্রসারণবাদী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ক্যান্ডি রাজ্যকে নিজের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার সময় এই রাজ্যের শেষ রাজা শ্রী বিক্রম রাজাসিংহের কাছ থেকে এই মূর্তিটি লুট করা হয় বলে কেউ কেউ যুক্তি উপস্থাপন করেন। সে যাই হোক, সিলনের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) ব্রিটিশ গভর্নর রবার্ট ব্রাউনরিগ ১৮৩০ সালে এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের নিকট হস্তান্তর করেন।[1] যারা বুদ্ধত্ব অর্জন করা সত্ত্বেও এবং পরদুঃখকাতর না হয়েও মৃত্যু, পুনর্জন্ম ও কষ্টভোগ থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করার উদ্দেশ্য সেই অবস্থান ফিরে এসেছেন তাদেরকে বৌদ্ধধর্মে বোধিসত্ত্বরূপে গণ্য করা হয়।[2]
তারামূর্তি বা তারার মূর্তি | |
---|---|
উপাদান | সোনার প্রলেপযুক্ত ব্রোঞ্জ |
আকার | উচ্চতা: ১৪৩ সে.মি. |
নির্মিত | ৭ম-৮ম শতক (খ্রিস্টীয় সাল) |
বর্তমান অবস্থান | ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন |
সনাক্তকরণ | 1830,0612.4 |