ভুটানের অর্থনীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভুটানের অর্থনীতি বিশ্বের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত কৃষিকাজ এবং বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির ৬০%-এরও বেশি মানুষ এই কৃষিকাজ ও বনজ সম্পদের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে। দেশটিতে উচু নিচু পাহাড় সর্বত্র বিস্তৃত। এই জন্য ঘরবাড়ি, রাস্তা তৈরিতে বেশি খরচ পড়ে এবং তা ব্যয়বহুল। পাহাড়ি এলাকার জন্য ভুটানের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে প্রায় চারদিন সময় লাগে। অনুমোদিত আইনের বাইরে পোশাক ও ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় না। এই জন্যে ঘরবাড়ি, রাস্তা তৈরিতে বেশি খরচ পড়ে এবং তা ব্যয়বহুল। ভুটানে টেলিভিশন কেন্দ্র একটি এবং বিমানবন্দরও একটি।[6]
মুদ্রা | গুলট্রাম (বিটিএন) |
---|---|
অর্থবছর | ১ জানুয়ারী – ৩১ ডিসেম্বর |
বাণিজ্যিক সংস্থা | সাফটা |
পরিসংখ্যান | |
জিডিপি | $২.০৮৫ বিলিয়ন (২০১৫)[1] |
জিডিপি ক্রম | ১৬৮তম (nominal) / ১৪৮তম (PPP) |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | ৭.৩% (২০১৫), ৭.৪% (২০১৬), ৫.৮% (২০১৭), ৫.৪% (২০১৮) [2] |
মাথাপিছু জিডিপি | $৮,১০০ (২০১৫) [1] U |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষিকাজ: ১৪.৪%, কল-কারখানা ৪১.৬%, চাকুরি ৪৪% (২০১৪)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) | ৯.৬% (২০১৪) |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | ১২% (২০১২) |
৩৮.৭ (২০১২) | |
শ্রমশক্তি | ৩,৪৫,৮০০ (২০১৩) |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি | কৃষিকাজ ৫৬%, কল-কারখানা ২২%, চাকুরি ২২% (২০১৩) |
বেকারত্ব | ২.৯% (২০১৩) |
প্রধান শিল্পসমূহ | সিমেন্ট, কাঠশিল্প, ফল-মূল, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পর্যটন |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ক্রম | ৭৫তম (২০১৭)[3] |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | $৬৫০.৩ million (২০১৪) |
রপ্তানি পণ্য | বিদ্যুৎ (ভারতের প্রতি), এলাচ, জিপসাম, কাঠশিল্প, হস্তশিল্প, সিমেন্ট, ফল, মূল্যবান পাথর, মসলা |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | ভারত ৮১.১% বাংলাদেশ ৬.৪% হং কং ৫.৮% চীন ৩.৮% নেপাল ২.৯% (২০১৩)[4] |
আমদানি | $৯৮০.৬ মিলিয়ন (২০১৪) |
আমদানি পণ্য | ফুয়েল এবং লুব্রিকেন্ট, ভূট্টা, বিমান, যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ, গাড়ি, কাপড়, চাল |
প্রধান আমদানি অংশীদার | ভারত ৭৮.৩% চীন ৬% জাপান ৩.৮% দক্ষিণ কোরিয়া ৩.৪% থাইল্যান্ড ২.৬% সিঙ্গাপুর ২.৬% (২০১৩)[5] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | $৭১৩.৩ মিলিয়ন (২০০৬) |
রাজস্ব | $৪০৭.১ মিলিয়ন (২০১৪) |
ব্যয় | $৬১৪ মিলিয়ন (ভুটানের মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশ সামগ্রীর মূল্য ভারত থেকে আসে) (২০১৪) |
অর্থনৈতিক সহযোগিতা | $৯০.০২ মিলিয়ন (ভারত) (২০০৫) |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
ভারতের সাথে বাণিজ্যিক, অর্থ আদান-প্রদান এবং ভারতের প্রদানকৃত অর্থের ওপর ভুটানের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। ভুটানের শিল্পগুলো তুলো বা কাপড় নির্ভর শিল্প। যেকোন উন্নয়ন পরিকল্পনা, যেমন রাস্তা তৈরি করাতেও, ভুটান ভারতীয় অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল।
ভুটানের প্রতিটি অর্থবছর এমনভাবে সাজানো হয় যেন দেশটির আবহাওয়া এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। ভুটানের সবচেয়ে বেশি আয় করে ভারতের কাছে জল শক্তি রপ্তানি করে। ভারত ভুটানের অপ্রতিদ্বন্দী রপ্তানি বাজার। তবে ভুটানের প্রতি চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে ভারত কিছুটা চিন্তিত।[7]