মহাসিদ্ধ
বজ্রযানী বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
মহাসিদ্ধ (সংস্কৃত: mahāsiddha, "মহান তাত্ত্বিক"; তিব্বতি: གྲུབ་ཐོབ་ཆེན་པོ, ওয়াইলি: grub thob chen po) এমন একজন ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত একটি শব্দ যিনি "পরিপূর্ণতার সিদ্ধি" আত্মস্থ ও প্রসার করেন। এরা হলেন এমন একধরনের যোগিন/যোগিনী যারা বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের মধ্যে স্বীকৃত। মহাসিদ্ধগণ তন্ত্রের অনুশীলনকারী বা তান্ত্রিক ছিলেন, যাদের গুরু বা তান্ত্রিক শিক্ষক হওয়ার মত যথেষ্ট ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা ছিল। এই সিদ্ধ হলেন একজন ব্যক্তি, যিনি সাধনার মাধ্যমে সিদ্ধি, মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি এবং ক্ষমতা অর্জন করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ ও হিমালয় জুড়ে তাদের ঐতিহাসিক প্রভাব বিপুল ছিল এবং তারা পৌরাণিক পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন যা তাদের চর্যাগীতি ও সাহিত্যে, বা নামধর্মী গানে সংমিশ্রিত, যেগুলির বেশিরভাগই তিব্বতি বৌদ্ধ নীতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মহাসিদ্ধগণ বজ্রযান ঐতিহ্যের এবং ডজগেন ও মহামুদ্রার মত বংশসূত্রের প্রতিষ্ঠাতা।
রবার্ট থুরম্যান তান্ত্রিক বৌদ্ধ সম্প্রদায়সমূহ এবং বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের (যেমন: নালন্দা, যা একই সময়ে উদ্ভূত) মধ্যে মিথোজীবী সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন:
প্রথম সাধারণ যুগের সহস্রাব্দের (এবং সম্ভবত এরও আগের) দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের তান্ত্রিক সম্প্রদায়গুলি বৌদ্ধ মঠের "বিশ্ববিদ্যালয়"-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত "উন্নত গবেষণা প্রতিষ্ঠান"-এর মত ছিল। সেগুলি আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় (অধ্যাত্মবিদ্যা) উচ্চ ফলনশীল, সাফল্যের সাথে স্নাতক সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের জন্য গবেষণা কেন্দ্র ছিল, যাদের মধ্যে কিছু এখনও একেশ্বরবাদী এবং বিশ্ববিদ্যালয় (বিদ্যালয়) থেকে "স্থল" (পথ)-এ সরে গিয়ে থাকতে পারেন, ...[1]