মানব পাচার
From Wikipedia, the free encyclopedia
মানব পাচার জোরপূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব অথবা পাচারকৃত মানুষদেরকে ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য সংঘটিত অবৈধ মানব বাণিজ্যকে বোঝায়। এ বিষয়টি জোরপূর্বক বিবাহের মাধ্যমে পত্নী জোগাড়,[1][1][1] অঙ্গহানি বা টিস্যু/কলাহানি[1][1] বা ভ্রূণকোষ ধ্বংস[1] করাকেও পরিবেষ্টন করতে পারে। মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত হয়। মানব পাচার বল প্রয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি অপরাধ যা মানুষের মুক্ত চলাচলের অধিকারকে হরণ করে। [1] মানব পাচার মূলত নারী এবং শিশু পাচারকেই ইঙ্গিত করে থাকে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংঘটন (আইএলও)-র মতে, শুধুমাত্র বলপূর্বক শ্রম দ্বারাই ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে ১৫০বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করা হয়েছে।[1] ২০১২ সালে আইএলও অনুমান করেছে যে প্রায় ২কোটি ১০লক্ষ মানুষ বর্তমান যুগে দাসত্বের শিকার। তাদের মধ্যে ১কোটি ৪২লক্ষ (৬৮%) জন শ্রম-শোষিত, ৪৫লক্ষ (২২%) জন যৌনভাবে শোষিত এবং ২২লক্ষ (১০%) জন রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া বলপূর্বক শ্রম দ্বারা শোষিত।[1]
আন্তর্জাতিক শ্রম সংঘটনের মতে শিশু শ্রমিক, সংখ্যালঘু এবং বেআইনি অভিবাসীরা প্রচন্ডভাবে শোষিত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। পরিসংখ্যান মতে, পৃথিবীর ২১কোটি ৫০লক্ষ যুব শ্রমিকদের অর্ধেককে জোরপূর্বক যৌন কর্ম এবং বলপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিসহ ক্ষতিকর ক্ষেত্রগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। [1] লেদার ট্যানিং, পাথর খননসহ ইত্যাদি সর্বোচ্চ শোষণমূলক এবং বিপজ্জনক ক্ষেত্রগুলোতেই বেশিরভাগ জাতিগত সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষেরা কাজ করে বলে অনুমিত হয়েছে। [1]
বহুজাতিক অপরাধ সংঘটনগুলোর সংঘটিত অপরাধকর্মগুলোর মধ্যে মানবপাচারকে অন্যতম দ্রুত অপরাধকর্ম হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। [1]
আন্তর্জাতিক কনভেনশন মতে, মানবপাচার হচ্ছে মানুষের অধিকারের লঙ্ঘন। সেই সাথে এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি নির্দেশনার বিষয়বস্তু। [1]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যবিভাগের মতে, মানবপাচার এবং জোরপূর্বক শ্রম থেকে সুরক্ষা দেবার ক্ষেত্রে বেলারুশ, ইরান, রাশিয়া, তুর্কি হচ্ছে জঘন্যতম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।[1]