মৃত্তিকা অণুজীববিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
মৃত্তিকা অণুজীববিজ্ঞান হল মাটির অণুজীবসমূহ, তাদের কার্যাদি এবং কীভাবে তারা মাটির বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কিত গবেষণা। দুই থেকে চার বিলিয়ন বছর আগে, প্রথম প্রাচীন ব্যাকটেরিয়া এবং অণুজীব পৃথিবীর মহাসাগরগুলোতে আবির্ভূত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি নাইট্রোজেন সংবদ্ধন করতে পারত, সময়ের সাথে সাথে বহুগুণে বৃদ্ধি পেত এবং ফলস্বরূপ বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন নির্গমন করত।[1][2] এটি আরও উন্নত অণুজীবে বিবর্তিত হয়।[3][4] এই প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তারা মাটির কাঠামো এবং উর্বরতাকে প্রভাবিত করে। মাটির অণুজীবকে ব্যাকটেরিয়া, অ্যাক্টিনোমাইসিটিস, ছত্রাক, শৈবাল এবং প্রোটোজোয়া হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। এদের প্রত্যেকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাদের পৃথকভাবে শনাক্ত করে এবং মাটিতে তাদের কার্যকারিতা নির্ধারণ করে।[5]
উদ্ভিদের মূলজ কোষ এবং এর আশেপাশে প্রত্যেক গ্রাম মাটিতে ১০ বিলিয়ন পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া বাস করতে পারে। উদ্ভিদমূলের আশেপাশের এই অঞ্চলটি রাইজোস্ফিয়ার হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালে, একটি দল সুগার বীটের শিকডড়ে ৩৩০০০ এরও বেশি ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কিয়ার প্রজাতি শনাক্ত করেছে।[6]
পার্শ্ববর্তী পরিবেশের পরিবর্তনের সাপেক্ষে রাইজোবায়োমের গঠন দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।