রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন (ইংরেজি: Regional Four Day Competition) ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ।[1] পূর্বে এ প্রতিযোগিতাটি শেল শীল্ড ও ক্যারিব বিয়ার কাপ নামে পরিচিত ছিল। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমের প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী দলকে ডব্লিউআইসিবি প্রেসিডেন্টস ট্রফি ও নক-আউট প্রতিযোগিতায় জর্জ হ্যাডলি/এভারটন উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়।[2] পূর্বেকার কয়েক মৌসুমে প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী দলকে হ্যাডলি/উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে প্রতিযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে ডিজিসেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় এ প্রতিযোগিতাটি ডিজিসেল ফোর ডে চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[3][4] ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রতিযোগিতাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচতি পাচ্ছে।
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন | |
---|---|
দেশ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
ব্যবস্থাপক | ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) |
খেলার ধরন | প্রথম-শ্রেণী (৪-দিন) |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৬৫-৬৬ |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন, সেমি-ফাইনাল |
দলের সংখ্যা | ৮ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | বার্বাডোস |
সর্বাধিক সফল | বার্বাডোস – ২২ শিরোপা (এছাড়াও ১টি যৌথভাবে) |
সর্বাধিক রান | গর্ডন গ্রীনিজ (বার্বাডোস) - ৯৯৫৬ |
সর্বাধিক উইকেট | কোর্টনি ওয়ালশ (জ্যামাইকা) - ৪১৯ |
২০১৯-২০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশীপ |
সাতটি ক্যারিবীয় দলের মাঝে এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে-মধ্যে অন্যান্য দেশের দলও এতে অংশ নেয়। চারটি ক্যারিবীয় দল - বার্বাডোস, গায়ানা, জ্যামাইকা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের দেশ থেকে এবং দুইটি দল - লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দল এতে অংশ নেয়। শেষের দুইটি দল কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস নামে কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলকে যুক্ত করে পূর্বে অংশ নিয়েছিল। ২০০৭-০৮ মৌসুমের শুরুতে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজের ক্রিকেট দল (সিসিসি ক্রিকেট দল) এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়। তবে, জুলাই, ২০১৪ সালে ডব্লিউআইসিবি ঘোষণা করে যে, ডব্লিউআইসিবির ক্রিকেট পরিচালক রিচার্ড পাইবাস মার্চ, ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দলটিকে বাদ দেয়া হয়েছে।[5]
বর্তমানে এ প্রতিযোগিতায় দ্বৈত রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট লাভের অধিকারী দল শিরোপা বিজয় করবে। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পূর্বে প্রতিযোগিতাটি কেবলমাত্র একবার রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে খেলার পর সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলায় সীমাবদ্ধ ছিল। অতীতে কোন নক-আউট পদ্ধতি ছিল না ও প্রয়োজনে যৌথভাবে ট্রফি প্রদান করা হতো।
বর্তমান শিরোপাধারী দল হচ্ছে গায়ানা। বার্বাডোস দল সর্বাধিকসংখ্যক বাইশবার (একবার যৌথভাবে) শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে, জ্যামাইকা সর্বাধিকসংখ্যক ধারাবাহিকভাবে পাঁচবার জয় করেছে।