শেরওয়ানি
From Wikipedia, the free encyclopedia
শেরওয়ানি (হিন্দি: शेरवानी; উর্দু: شیروانی) ভারতীয় উপমহাদেশে পরিধান করা একটি দীর্ঘ কোট-জাতীয় পোশাক, এটি একটি পশ্চিমী ফ্রক কোট বা পোলিশ এবং লিথুয়ানিয়ান যুপনের মতো পরিধেয় পোশাক। মূলত তৃতীয় খ্রিস্টাব্দে ভারতের কুশান শাসকেরা এটি চালু করে, এটি মুসলিমদের আভিজাত্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। [1] এটি একটিকুর্তার ওপরে পরা হয় ,সঙ্গে নিম্নাঙ্গের পোশাক হিসাবে চুড়িদার, অথবা ধুতি অথবা পাজামা অথবা একটি সালোয়ার/সিরওয়াল সমন্বয় করে পরা হয়। এটি আচকান থেকে পৃথক করা হয়, কারণ এটি দৈর্ঘ্যে খাটো, প্রায়শই ভারী স্যুটিং কাপড় থেকে তৈরি করা হয়, এবং এতে আস্তরণ দেওয়া হয়। শেরওয়ানি প্রথাগত অনুষ্ঠানে পরা হয়।
এমা তারলোর মতে, শেরওয়ানিটি একটি পার্সিয়ান অঙ্গাবরণ (বালাবা বা চ্যাপকান) থেকে বিকশিত হয়েছিল, যাকে ধীরে ধীরে আরও একটি ভারতীয় রূপ (আংরাখা) দেওয়া হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ধরন অনুসরণ করে সামনে বোতাম দেওয়া শেরওয়ানি রূপে বিকশিত হয়। [2] উনিশ শতকের ব্রিটিশ ভারতবর্ষে এর উত্থান হয়েছিল উত্তর ভারতের আঞ্চলিক অভিজাত মুঘল এবং রাজকীয়দের ইউরোপীয় শৈলীর দরবারের পোশাক হিসাবে। [3] এটি ১৮২০ এর দশকে লখনৌতে প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। [4] এটি ধীরে ধীরে উপমহাদেশের রাজকীয় এবং অভিজাতদের দ্বারা এবং পরে সাধারণ জনগণের দ্বারা মাঝে মাঝে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের আরও বিকশিত রূপ হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। পোশাকের নামটি সম্ভবত নেয়া হয়েছে শিরভান বা শিরওয়ান থেকে, যেটি অধুনাতন আজারবাইজান এলাকার একটি অঞ্চল। ঐ অঞ্চলের লোকজ পোশাক (ছোকা)র চেহারা শেরওয়ানির বর্ণনার অনুরূপ। সুতরাং, মধ্যযুগের সময় ইন্দো-পার্সির জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক সংযোগের কারণে পোশাকটি ককেশীয় পোশাকের একটি ভারতীয় রূপ প্রাপ্ত হয়েছে।