সংযম (পুণ্য)
From Wikipedia, the free encyclopedia
আধুনিক ব্যবহারে টেম্পারেন্স (Temperance) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় সংযম বা স্বেচ্ছাসেবী আত্মসংযম ব্যাপারটার সাথে। [1] এটাকে সাধারণত বর্ণনা করা হয় একজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় যা করা থেকে বিরত থাকে তার পরিপ্রেক্ষিতে। [2] এর মধ্যে রয়েছে অহিংসা ও ক্ষমা অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিশোধ থেকে সংযম, নম্রতা ও বিনয় অনুশীলনের মাধ্যমে অহংকার থেকে সংযম, অযথা বিলাসিতা বা অতিরিক্ত টাকাপয়সা খরচ করার মতো বাড়াবাড়ি থেকে সংযম এবং শান্ত ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অনুশীলনের মাধ্যমে ক্রোধ বা লালসা থেকে সংযম। [2]
টেম্পারেন্স তথা সংযমকে ধর্মীয় চিন্তাবিদ, দার্শনিক এবং সাম্প্রতিককালে মনোবিজ্ঞানীরা গুণ হিসাবে বিবেচনা করেন। বিশেষ করে ইতিবাচক মনোবিজ্ঞান আন্দোলনের একটি অন্যতম গুণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। দার্শনিক এবং ধর্মীয় চিন্তাধারায় এর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
শাস্ত্রীয় সংকেতবিদ্যায় (iconography), এই গুণকে প্রায়ই একজন মহিলা হিসাবে চিত্রিত করা হয় যেখানে দুটি পাত্রের মধ্যে একটি থেকে অন্যটিতে পানি ঢালা হচ্ছে। এটা গ্রীক দর্শন এবং খ্রিস্টধর্মের পাশাপাশি পৃথিবীর পূর্ব দিকের ঐতিহ্য, যেমন বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মের চিন্তাধারারও অন্যতম প্রধান এক গুণ।
সংযম হলো ইতিবাচক মনোবিজ্ঞানের ছয়টি গুণের মধ্যে একটি, যার মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞা, সাহস, মানবতা, ন্যায়বিচার এবং আধ্যাত্মিকতা (transcendence) । [3] এটাকে সাধারণত অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং সতীত্ব, বিনয়, নম্রতা, স্ব-নিয়ন্ত্রণ, আতিথেয়তা, সাজসজ্জা, বিরত থাকা এবং ক্ষমার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়; এই প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছু না কিছু বাড়তি আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সংযম দরকার। যেমন যৌন আকাঙ্ক্ষা, অহংকার অথবা রাগ ।
টেম্পারেন্স শব্দের বাংলা অর্থ হতে পারে মেজাজ, মিতাচার বা সংযম। মূলত শব্দটা অ্যালকোহল (teetotalism) থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রেও উল্লেখ করা যেতে পারে, বিশেষ করে এ নিয়ে একটি আন্দোলনও হয়েছে, নাম টেম্পারেন্স মুভমেন্ট (temperance movement) তথা সংযম আন্দোলন। এ শব্দকে অ্যালকোহলের সংযমের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করা যেতে পারে।