স্থাপত্য প্রকৌশল
From Wikipedia, the free encyclopedia
স্থাপত্য প্রকৌশল, যা ভবন প্রকৌশল বা স্থাপত্যবিদ্যা নামে পরিচিত হল জ্ঞানের একটি শাখা যা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিশদ আলোচনা করে থাকে। এছাড়াও, স্থাপত্য প্রকৌশলে ভবনের পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় (শক্তি সংরক্ষণ, তাপ, বায়ুপ্রবাহ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রকের ব্যবজার, আলোর ব্যবহার, দৃষ্টি, নাদবিদ্যা, চলাচল ব্যবস্থা), কাঠামো, ইমারত নির্মাণে ব্যবহৃত উপাদান ও বস্তুর ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্য এবং নির্মাণ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করে থাকে।[1][2]
কম গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থাপত্য প্রকৌশলীরা একবিংশ শতাব্দীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তারা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবনের নকশা তৈরি করে থাকেন। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার দরুন বিংশ শতাব্দীতে পেশা হিসেবে স্থাপত্য প্রকৌশলের যাত্রা শুরু হয়, যা প্রকৌশলবিদ্যার অন্যান্য পেশার তুলনায় বেশ নবীন। স্থাপত্য প্রকৌশলীরা বর্তমান বিশ্বে দুইটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যাতে গোটা বিশ্ব বুঁদ হয়ে আছে: (১) কম্পিউটার নির্ভর প্রকৌশলের প্রভূত উন্নতি, এবং (২) বিশ্বকে দূষণের হাত থেকে মুক্ত করে বাসযোগ্য করে রাখা।[3]
স্থাপত্যকলা নকশা সংক্রান্ত শিল্প হলে স্থাপত্য প্রকৌশল হল প্রকৌশলের একটি শাখা, যা বিভিন্ন ভবন নির্মাণে শিল্প ও বিজ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে করে।[4]