হিমবাহ
From Wikipedia, the free encyclopedia
হিমবাহ (ইংরেজি: Glacier) হল বরফের বিরাট চলমান স্তুপ বা নদী। সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলে শীতকালে তুষার পড়ার হার গ্রীষ্মে গলনের হারের চেয়ে বেশি হলে পাহাড়ের উপরে তুষার জমতে শুরু করে এবং জমে শক্ত বরফে পরিণত হয়। এই বরফজমা এলাকাটিকে বরফক্ষেত্র (Ice field) বলে।[1][2] যখন এই জমা বরফ নিজের ওজনের ভারে এবং মাধ্যাকর্ষণের টানে ধীরগতিতে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নামতে শুরু করে, তখন তাকে হিমবাহ বলে। তবে জমা বরফ এত পুরু হয় এবং এর নিম্নগতি এতই ধীর যে তাকে স্থিরই মনে হয়।
উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্মত অবস্থায় আনতে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদের উইকিকরণ প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত আন্তঃসংযোগ প্রয়োগের মাধ্যমে নিবন্ধের উন্নয়নে সহায়তা করুন। |
ভারতের উত্তরে পাকিস্তানের কারাকোরাম পর্বতমালাতে অবস্থিত গ্রেট বালটোরা পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৮ কিলোমিটার। হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের কাছে রংবুক ও কাশৃঙ্গ হিমবাহ অবস্থিত। অস্ট্রিয়া-ইতালি সীমান্তে আল্পস পর্বতমালার সিমিলাউন হিমবাহে ১৯৯১ সালে একজন মানুষের অবিকৃত দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় দেহটি প্রায় ৫,৩০০ বছর সেখানে সমাহিত হয়ে ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে হিমবাহের তুষার ক্ষেত্র অনেক সময় পার্বত্য ঢালে ভারসাম্য হারিয়ে দ্রুতগতিতে নিচে নেমে যায়। একে বলে হিমানী সম্প্রপাত বা avalanche। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইহা মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলে ।ভারতের পশ্চিম হিমালয়ে ব্যাপকহারে হিমানী সম্প্রপাত ঘটে। ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে এভারেস্ট অভিযানের সময় প্রবল হিমানী সম্প্রপাত এ ১৩ জন নেপালি শেরপা মৃত্যুবরণ করেন। সাতজন পর্বতারোহী নিখোঁজ হন এবং দশজন আহত হন।
== হিমবাহের খ্য় ==mmg ho