আদি পরাশক্তি
হিন্দু দেবী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আদি পরাশক্তি (সংস্কৃত: आदि पराशक्ति) বা আদ্যাশক্তি বা অভয়া শক্তি বা মহাদেবী হিন্দুধর্মের শাক্ত সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবী।[3][4] এই ঐতিহ্য মতে, সমস্ত হিন্দু দেবদেবীকে এই মহাদেবীর প্রকাশ বলে মনে করা হয়,[5][6][7] যিনি দেবতা বিষ্ণু এবং শিবের সহিত পরব্রহ্ম হিসেবে তুলনীয়।।[8]
আদি পরাশক্তি | |
---|---|
দেবনাগরী | महादेवी/आदिशक्ति पराशक्ति |
সংস্কৃত লিপ্যন্তর | Mahādevī / Ādiśakti / Parāśakti |
অন্তর্ভুক্তি | |
আবাস | মণিদ্বীপ |
মন্ত্র | ওঁ অীং ক্রীং শ্রীং ক্লীং[1] |
অস্ত্র | দেবী চক্র, পাশ, অঙ্কুশ, ত্রিশূল, পাঞ্চজন্য |
প্রতীকসমূহ | ওঁ, শ্রীচক্র |
বাহন | সিংহ ও বাঘ |
গ্রন্থসমূহ | দেবীমাহাত্ম্য, দেবীভাগবত পুরাণ, কালিকা পুরাণ , ললিতা সহস্রনাম, সুন্দর্য লাহারী, শিব পুরাণ, শাক্ত উপনিষদ যেমন দেবী উপনিষদ[2] |
বৈষ্ণবরা মহাদেবীকে লক্ষ্মী,[9] শৈবরা পার্বতী, দুর্গা ও মহাকালী,[10] শাক্তরা দুর্গা, ত্রিপুরসুন্দরী, ভুবনেশ্বরী, চামুণ্ডা, মহাশক্তি, পরমাপ্রকৃতি, রাধা, মহাগৌরী, সীতা, মহাদেবী, মহালক্ষ্মী, কালী, তারা, জগদম্বা, মহাসরস্বতী ইত্যাদি হিসেবে বিবেচনা করে।[11][7][12][13] লেখক হেলেন টি বোরসিয়ার বলেছেন, "হিন্দু দর্শনে লক্ষ্মী ও পার্বতী উভয়কেই মহাদেবী ও শক্তি বা ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে"।[14]
হিন্দুধর্ম অনুযায়ী জগতের স্রষ্টা ব্রহ্ম,[15][16][17] আবার তিনিই পুরুষ[18][19][20] ও প্রকৃতিতে[21][22][23] দ্বিধাবিভক্ত।[24] পুরুষ পুংশক্তি; প্রকৃতি নারীশক্তি, এবং এ পরমা প্রকৃতিই পরব্রহ্মের শক্তি।[8] হিন্দু শাক্তমতে তিনিই আদিশক্তি বা আদ্যাশক্তি মহামায়া। শক্তির উৎস শক্তিমান ব্রহ্ম, এবং এই মাতৃশক্তি তাঁরই প্রকাশ।[25][26][27][28] সে জন্য তাঁকে বলা হয় ব্রহ্মরূপিণী।